শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ বলেছে চীন। গত শুক্রবার বিশ্বের ১১০টি দেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্চুয়াল ‘বৈশ্বিক গণতন্ত্র সম্মেলন’ শেষ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এমন মন্তব্য করেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিশ্বজুড়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থানের মধ্যে সমমনা দেশগুলোকে নিয়ে দুই দিনের এ সম্মেলন আয়োজন করে ওয়াশিংটন।
চীন, হাঙ্গেরি ও রাশিয়া এতে আমন্ত্রণ পায়নি।
আমন্ত্রণ বঞ্চিত বেইজিং জো বাইডেনের বিরুদ্ধে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার মতাদর্শগত বিভেদ তৈরির অভিযোগ তুলেছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক অনলাইন বিবৃতিতে বলেছেন, অন্য দেশে হস্তক্ষেপের জন্য দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য দেশে ‘রঙিন বিপ্লব’ উসকে দেয়ার চেষ্টা করছে দেশটি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, গণতন্ত্রকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের কৌশল এবং বিভাজন ও সংঘাত উসকে দিতে যুক্তরাষ্ট্র এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
ওয়াশিংটনের এমন নীতি মোকাবিলায় ‘ছদ্মবেশী’ গণতন্ত্রকে কঠোরভাবে প্রতিরোধের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে বেইজিং।
তবে যুক্তরাষ্ট্র চীনের এমন অভিযোগ নাকোচ করে দিয়েছে। বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতার পাশাপাশি তাইওয়ানে মানবাধিকার
লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার যুক্তরাস্ট্র। পাশাপাশি উইঘুর নিয়ে চীনের প্রতি নাখোশ যুক্তরাষ্ট্র।