ইন্দোনেশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প সুনামি সতর্কতা জারি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে গতকাল সাত দশমিক চার মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। পর্যবেক্ষকরা ভূমিকম্পের পর বিপজ্জনক সুনামি ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। খবর: রয়টার্স।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মওমেরে শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে মাটির ১৮ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার অভ্যন্তরে।

প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল থেকে এক হাজার কিলোমিটার উপকূলজুড়ে বিপজ্জনক ঢেউ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।

ইউএসজিএস বলছে, ভুমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম। এ এলাকায় সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ভূমিকম্পগুলোয় দ্বিতীয় মাত্রার বিপদ হয়েছে আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতিতে ভূমিকা রেখেছে সুনামি ও ভূমিধস।

পূর্ব নুসা টেঙ্গগারা প্রদেশের পূর্ব ফ্লোরস রিজেন্সির অন্তর্গত আদোনারা দ্বীপের এক বাসিন্দা নুরাইনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি মাঠে ছিলাম। লোকজন আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করছিল। আমি এখনও ভীত।’

ফ্লোরস দ্বীপের মাউমেরে শহরের বাসিন্দা অগাস্টিনাস ফ্লোরিয়ানাস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘প্রত্যেকেই দৌড়ে রাস্তায় নেমে আসে।’ ভূমিকম্পের পরপরই ফ্লোরস দ্বীপের লারানতুকায় পাঁচ দশমিক ছয় মাত্রার একটি আফটারশক আঘাত করে।

ভূমিকম্পের জেরে পূর্ব নুসা টেঙ্গগারা, পশ্চিম নুসা টেঙ্গগারা, মালুকু, দক্ষিণ-পূর্ব সুলাউসি ও দক্ষিণ সুলাউসি প্রদেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত প্রত্যক্ষ করে। ২০০৪ সালে সুমাত্রা উপকূলে ৯ দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর পরের সুনামিতে এ অঞ্চলজুড়ে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় মারা যান এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ।

২০১৮ সালে লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৫০ জন মারা যান। গত বছর সুলাওসি দ্বীপে সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প ও পরবর্তী সুনামিতে চার হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়।

১৯৯২ সালে সাত দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তখন দুই হাজার মানুষ প্রাণ হারান।