ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ঋণমান ‘এএ প্লাস’ ও ‘এসটি-১’

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ প্লাস’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।

কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩০ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৯৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৩৩ পয়সা। এর আগের বছরে অর্থাৎ ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ১২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৪৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২২ টাকা ৯৯ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৬ পয়সা। অর্থাৎ, ইপিএস কমেছে ১১ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭১ টাকা আট পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে তিন টাকা ১২ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৮ টাকা ৮০ পয়সা। দিনভর কোম্পানিটির ৩৮ হাজার ৩৪৯টি শেয়ার মোট ১১৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওই দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় লেনদেন করে। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৬৭ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ১২ দশমিক ২৬ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৬ দশমিক ২৭।