এমরানা আহমেদ: গত ৩ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এক গৃহবধূ তার শাশুড়ি, শ্বশুর ও চাচা শ্বশুরের নির্মম নির্যাতনে শিকার হয়েছেন। পারিবারিক কথা কাটাকাটির জের ধরে তাকে নির্যাতন করা হয়। গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী। তার মেয়ে মাকে নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে পুলিশ শাশুড়ি আলেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে। বাকি দুই আসামি পলাতক।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগানে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয় ১৭ বছর বয়সী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এক ছাত্রী, যা দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে। হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয় ১৮ বছর বয়সী তারই এক বন্ধুকে।
ফরিদপুরের সালথায় গত ৮ জানুয়ারি সাত বছরের এক শিশুকে নৌকায় ঘুরানোর কথা বলে ধর্ষণ করে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ। বিষয়টি জানার পর লোকলজ্জায় প্রথমে চেপে যায় ওই শিশুর পরিবার। পরে জানাজানি হলে মামলা করেন শিশুটির চাচা।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে জন্মনিবন্ধন সনদ দেয়ার নামে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক নারীকে ধর্ষণ করে স্থানীয় একজন। ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখালে তিনি ঘটনা চেপে যান। এর তিন দিন পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুধু এসব ঘটনাই নয়, প্রতিদিনই নারী ও শিশুরা নানাভাবে নির্যাতন এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে। করোনাকালে দেশে নারী ও শিশু হত্যা, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতনসহ নানা সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক।
গত বছর দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভের পর সরকার সে বছরের অক্টোবর মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করা হয় ১৩ অক্টোবর, অর্থাৎ ওই দিন থেকে নতুন সাজা কার্যকর হয়। কিন্তু তারপরও নারী ও শিশু ধর্ষণ কমেনি সে অর্থে।
মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকারের’ তথ্য অনুযায়ী, মহামারিকালে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাও আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। সমাজবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে পারিবারিক নৈতিকশিক্ষার অভাবকে দায়ী করছেন। পরিবার থেকে যদি নারী নির্যাতনের বিষয়ে সচেতন করা হতো, তবে এই মহামারি অনেকটাই লোপ পেত বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
কভিডকালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। তবে সরকারের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার নানা পদক্ষেপের কারণে সম্প্রতি সহিংসতা অনেকাংশেই কমে এসেছে। কভিড-১৯-এর আক্রমণ মোকাবিলা, চ্যালেঞ্জসমূহ এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে করণীয় বিষয়ে মিউনিসিপাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব), ইউএনডিপি’র এলআইইউপিসি প্রকল্প ও এফসিডিও’র যৌথ আয়োজনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশের (ইউডিজেএফবি) কারিগরি সহায়তায় অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, নারীশিক্ষার প্রসার ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে নারীর অধিকার ও শিক্ষার মান উন্নয়ন হচ্ছে বলেও প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের শুরু পর্যন্ত মহামারির সময় তিন হাজার ৪৪০ জন নারী ধর্ষণ ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৩৪৬ জন ধর্ষণ, ২৩৬ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ৩৩ জন ধর্ষণের পর খুন এবং তিনজন ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া ২০০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে; ৪৩ নারী ও শিশুকে শ্লীলতাহানি এবং ৭৪ জনকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। ২৫ জন অ্যাসিড সহিংসতার শিকার ও ২৯ জনকে অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনের আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। ৫৯ জন নারী ও শিশুকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও পেটানো হয়েছে। এ ছাড়া ১২৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। ৪৬৮ জন নারীকে বিভিন্ন কারণে হত্যা করা হয়েছে। ১১৭ জনকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও ৫২ জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। ১১৭ জন মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ৩৩ জনকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে ৪৩ জন নারী সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৩টি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ থেকে তারা এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
সম্প্র্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, কভিডকালে শিশু ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ও এর ভয়াবহতা আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে শিশুর প্রতি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এক হাজার ১৯৯টি। খুন হয়েছে ৩৬৫টি শিশু। ২০২০ সালে একই সময়ে শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ছিল ৯৮৬টি। ২০১৯ সালে ঘটেছিল দুই হাজার ১৮৪টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা, যা আগের বছর ছিল এক হাজার ৫৩২টি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক হাজার ৫৪৬ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৫১ জনকে, আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন। ৯৭৪ জন শিশু হয়েছে ধর্ষণের শিকার। ২০১৯ সালে এক হাজার ৪১৩ জন নারী ও ৯৮৬ জন শিশু এবং ২০১৮ সালে ৭৩২ জন নারী ও ৪৪৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা তার চেয়েও বেশি। অনেক সময় পারিবারিক চাপ কিংবা লোকলজ্জার ভয়ে নির্যাতিত নারী তাদের ওপর অত্যাচারের কথা চেপে যান। কখনও আবার প্রভাবশালীরা এ ধরনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে বাধ্য করে।
শিশুরা অমানবিক নির্মমতার শিকার হলে মিডিয়ার কল্যাণে সবাই জানতে পারে। কিন্তু ভয়াবহ এসব ঘটনাগুলোর বাইরে যে প্রতিদিন অসংখ্য শিশু ঘরে-বাইরে নানা ধরনের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করছে, সে খবর কে রাখে? বিশেষ করে শিশুশ্রমিক, পথশিশু, প্রতিবন্ধী শিশু, প্রতিষ্ঠানে বসবাসকারী শিশুসহ অনেক শিশু তাদের অবস্থানের কারণে অতিরিক্ত ঝুঁকিতে থাকে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে শিশুর প্রতি নৃশংসতা। এমনকি অনেক বিকৃত মানসিকতার লোক নিজের সন্তানের ক্ষতি করে প্রতিপক্ষের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টায়ও পিছপা হয় না। এমন মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারিবারিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে দেশে কঠিন আইন আছে। কিন্তু কঠোর আইনই যে শুধু অপরাধ দমনে যথেষ্ট নয়, তা আমাদের বাস্তবতায় দেখা যায়। সমাজ অপরাধপ্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে যত কঠোর আইনই থাক, শিশুর প্রতি সহিংসতার মতো বড় ধরনের সংকট দূর করা অসম্ভব। ফলে শিশু ও অভিভাবকদের আতঙ্ক যেমন বাড়ছে, তেমনি এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে সামাজিক জীবনে। বর্তমানে এ সামাজিক ব্যাধি যেহেতু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, সেহেতু এর হাত থেকে পরিত্রাণে করণীয় নির্ধারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পরিবারের পাশাপাশি সমাজকেও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। সমাজে অপরাধপ্রবণতা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। নারী ও শিশু ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনসহ নানা ধরনের অপরাধপ্রবণতা আমাদের দেশে বেশি লক্ষ্য করা যায়। বিচারহীনতা, বিচারে দীর্ঘসূত্রতা এবং বিকৃত মানসিকতার কারণেই শিশুর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। নির্যাতন কমাতে হলে সবার জন্য একটি কার্যকর শিশু সুরক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে নির্যাতনকারীর মনস্তাত্ত্বিক কারণ প্রসঙ্গে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেখলা সরকার বলেন, এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটায়, তাদের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক মানসিকতা তো কাজ করেই। এছাড়া যখনই কোনো ধরনের সংকট, বিশেষ করে মহামারি দেখা যায়, তখন এসব সুযোগসন্ধানীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তারা মনে করে, সমাজে যেহেতু নারী ও শিশুদের অবস্থা দুর্বল, তাদের ওপর অত্যাচার করা যেতে পারে। আসলে নারীর প্রতি যে পরিমাণ যৌননিপীড়ন, নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সেসব ঘটনার অনেকাংশ চাপা থাকে। সমাজও এ ব্যাপারে নীরব থাকে। অন্যদিকে শিশুরা যে নিপীড়নের শিকার হয়েছে, এটা অনেক সময় তারা বুঝতেই পারে না। নির্যাতনকারীরা এসব সুযোগ কাজে লাগায়। একটি ছেলেশিশু ছেলেবেলা থেকে পরিবারে নারীর যে অবস্থান দেখে বড় হয় সেটি তার মাথায় থাকে। এছাড়া সমাজে, মিডিয়ায় কীভাবে নারীকে উপস্থাপন করা হচ্ছে, সেটির প্রভাবও তার মানসিক গঠনে ভূমিকা রাখে। নারীর প্রতি পুরুষের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিবার, চারপাশের পরিবেশ ভূমিকা রাখে।
এ প্রসঙ্গে সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন বলেন, দেশের উন্নয়ন হয়েছে, নারীর উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু কোনো কোনো অঞ্চলে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এখনও পরিবর্তন হয়নি। কোন অঞ্চলে এবং কেন নারীরা এখনও নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, সেখানকার শাসনব্যবস্থা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, সামাজিক পরিস্থিতিÑসবকিছু নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। বর্তমান সরকার নারীবান্ধব। তারপরও কেউ কেউ নিপীড়ন করে কেন পার পেয়ে যাচ্ছে, সেটিও গভীরভাবে দেখা দরকার। আইনের প্রয়োগ যেন সুষ্ঠুভাবে করা হয়, সে ব্যাপারেও দৃষ্টি দিতে হবে। এসব সহিংসতার ঘটনা কমাতে পরিবার, সমাজ, শাসনব্যবস্থা সব জায়গাতেই নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হতে হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের জন্য রয়েছে সমান অধিকার। বিশেষত নারী ও পুরুষের সমঅধিকারের কথা নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) ধর্ষণ, হুমকি, আত্মহত্যার প্ররোচণা, কথা বা কাজ, গুরুত্ব বিবেচনায় শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড এবং আর্থিক জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ পরিবারে সহিংসতা প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে সুরক্ষা নির্দেশিকা। ডিজিটাল সুরক্ষা আইন ২০১৮, দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারা (মানহানি) সাইবার হয়রানির কারণে ৩-৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং আর্থিক জরিমানা হতে পারে। শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং আর্থিক জরিমানা হতে পারে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ সমঅধিকার, প্রয়োজনীয় স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য উপযোগী পরিবেশ ও ন্যায্য সুযোগ সুবিধা এবং গণপরিবহনে নির্দিষ্ট আসন ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশিকা। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশনা রয়েছে। ধর্ষণ প্রমাণে সহায়তায় হাইকোর্টের ১৮ দফা নির্দেশনা দ্রুত কেস দাখিল এবং যত দ্রুত সম্ভব, তদন্ত নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে রয়েছে নির্দেশনা। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা বাধ্যতামূলক। ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’-এর বিষয়ে হাইকোর্ট ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির জন্য বিতর্কিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছে। স্বাস্ব্যবিধি মেনে নারী পুলিশ অফিসার, নারী চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যের উপস্থিতিতে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির পরীক্ষা করা হবেÑএসব উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা কমবে, এমন আশাবাদ এবং সে প্রত্যয়ে কাজ করার অঙ্গীকার থাক আমাদের সবার। সুরক্ষিত হোক আমাদের নারী ও শিশুসহ বিশ্বের সব নারী-শিশু।
পিআইডি নিবন্ধ