ড্রাগন সোয়েটারের ঘোষিত লভ্যাংশে পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ও বিনিয়োগকারীরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ড্রাগন সোয়েটারের পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু গত বুধবার কোম্পানিটির ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পরিচালনা পর্ষদ ও বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ বোনাসের পরিবর্তে পাঁচ শতাংশ নগদ (উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ব্যতীত শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য) এবং পাঁচ শতাংশ বোনাস (সব বিনিয়োগকারীর) লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে।

২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২২ পয়সা এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭২ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৫ পয়সা।

এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটি চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩০ পয়সা। অর্থাৎ, ইপিএস বেড়েছে ছয় পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা আট পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা।

এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৮ টাকা ৯৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২১ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটি ২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২০ কোটি সাত লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩২ দশমিক ১৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও বাকি ৫৫ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে চার লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩টি শেয়ার ৩২৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১২ দশমিক ৭৬ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১২ দশমিক ৮৭।