প্রতিনিধি, হিলি: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ক্রেতা সংকট থাকায় ঝিমিয়ে পড়েছে পেঁয়াজ বেচাকেনা। আমদানি করা হলেও নেই কোনো পেঁয়াজের ক্রেতা। আর এতে বস্তা ভেদ করে বড় হচ্ছে পেঁয়াজের গাছ। গতকাল বিকালে সরেজমিনে স্থলবন্দরে গিয়ে পেঁয়াজের আড়তগুলোতে দেখা যায়, ঘরে পেঁয়াজের বস্তা যেন সাজানো। নেই কোনো ক্রেতা। ক্রেতা সংকটের কারণে বস্তা থেকে উঠতে শুরু করছে পেঁয়াজের গাছ। এদিকে লোকসানের কারণে অন্যান্য দিনের
তুলনায় ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে আমদানিও কমিয়েছে পেঁয়াজের। আর আড়তের সামনে সারিবদ্ধভাবে ভারতীয় পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকগুলো দাঁড়িয়ে আছে বিক্রির অপেক্ষায়। পাশে বসে আছে আমদানিকারক ও তাদের প্রতিনিধিরা।
প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা দরে। আবার যে পেঁয়াজে গাছ বের হয়নি সেগুলো কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। হিলি আমদানিকারকরা বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বড় ধরনের লোকসানে পড়েছি আমরা। বর্তমানে ভারতেই পেঁয়াজের কেজি প্রায় ২৫ টাকা। তার পরে ট্রাক ভাড়া, আবার বন্দরে আসার খরচ। তার পরেও আমরা পেঁয়াজ আমদানি করছি কারণ বিভিন্ন মোকামে অনেক বাকি পড়ে আছে। আরেকজন বলেন, প্রতি বছর এ সময় দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের একটা প্রভাব পড়ে। কিন্তু এ বছর দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক বেশি। তার পরে বার্মার পেঁয়াজ আসায় আমরা দাম পাচ্ছি না। আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছি।
হিলি কাস্টম তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহের চার কর্মদিবসে ৭০টি ভারতীয় ট্রাকে এক হাজার ৯২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।