ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণমান ‘এএএ’ ও ‘এসটি-১’

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।

এদিকে গত ২৮ অক্টোবর কোম্পানিটি ডিএসইতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে প্রাইভেট হাই-টেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথোরিটি। এর ফলে হাই-টেক পার্কে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোম্পানিটি কর প্রদানের বেলায় বিশেষ সুবিধা পাবে, যা কিনা কোম্পানিটিকে লাভজনক করতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ২৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে চার টাকা ১০ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩০৩ টাকা ৭৯ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে চার টাকা ৩৩ পয়সা।

এদিকে কোম্পানিটির বর্তমান নাম ‘ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ পরিবর্তন করে ‘ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’ রাখতে চায়। এজন্য অবশ্য কোম্পানিটির মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন সংশোধন করতে হবে। এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই সভায় ১৭১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে (নিবন্ধন ও অন্যান্য খরচ বাদে) বসুন্ধরার ভাটারায় (প্লট নং-১০৮৮, ব্লক-আই) ২৩৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ জমিতে ওয়ালটনের করপোরেট অফিসের আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে।

২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপএস) হয়েছে ৫৪ টাকা ২১ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১১ টাকা ৫৯ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়নসহ), ২০৮ টাকা ১৬ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩১ টাকা ৯৬ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯ হাজার ৪২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ছয় টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ এক হাজার ১৪৬ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে চার হাজার ৯৬৪টি শেয়ার মোট ২৭৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ এক হাজার ১৪৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ১৬০ টাকায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর এক হাজার আট টাকা থেকে এক হাজার ৫২৪ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।