সুদের হার ফের বাড়লো যুক্তরাষ্ট্রে

 

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো নীতি-নির্ধারণী সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)।

বুধবার দ্বিতীয় দফায় সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এক শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এক দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের পর এটি সর্বোচ্চ সুদহার। খবর বিবিসি।

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শ্রমবাজার শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় সুদের হার আবার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল ফেডারেল রিজার্ভ। অবশ্য চলতি বছরে তিন ধাপে সুদের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে আগেই জানানো হয় ফেডের পক্ষ থেকে। ফেড প্রধান জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তার প্রতিফলন ঘটানো।’

গত মার্চে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সুদের হার বাড়ায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। ওই সময় নীতি-নির্ধারণী সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ বাড়ানোর ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় এ ব্যাংকের প্রধান জ্যানেট ইয়েলেন। সুদের হার বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে এক শতাংশ করা হয়।

যে হারে ব্যাংকগুলোকে ধার দেওয়া হয়, তাকে ‘ফেডারেল ফান্ডস রেট’ বা ‘নীতি-নির্ধারণী সুদহার’ বলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন বেকারত্বের হার সর্বনি¤œ, অর্থনৈতিক ইন্ডিকেটর যেমন মূল্যস্ফীতিও কম কিন্তু এর পরও সুদের হার বাড়ানো হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা সূচক অপ্রত্যাশিতভাবে গত মাসে কমে গিয়েছিল, যা গত ১৬ মাসে সর্বনি¤œ রেকর্ড। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফের সুদের হার বাড়ানো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

বিশ্লেষকদের মতে সুদের হার বাড়ানো ফলে মধ্যবিত্তের ওপর প্রভাব পড়বে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষতির দিকই বেশি দেখছেন তারা।

ফেডের স্টেটমেন্টে বলা হয়, দ্রব্যের মূল্য সম্প্রতি পড়ে যায়। ফলে মূল্যস্ফীতি দুই শতাংশের নিচে রাখাই ফেডের লক্ষ্য। তবে ব্যাংকের প্রধান জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, সম্প্রতি দ্রব্যের মূল্য পড়ে যায়। বিশেষ করে সেলফোন, খাদ্যদ্রব্য ও মেডিসিন দ্রব্য। তাই মূল্যস্ফীতি ধরে রাখাই ফেডের উদ্দেশ্য।