১২ কার্যদিবসে রহিমা ফুডের দর বেড়েছে ৩৮.২০ টাকা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেডের শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমনটিই জানায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)।

সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে।

গত মাসের ৩০ তারিখে কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১০৬ টাকা ২০ পয়সা, যা ১২ কার্যদিবসে অর্থাৎ গতকাল লেনদেন হয় ১৪৪ টাকা ৪০ পয়সায়। এ হিসাবে দর বেড়েছে ৩৮ টাকা ২০ পয়সা। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল এই কোম্পানির শেয়ারদর দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ বা তিন টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪৪ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে ৬৪ হাজার ৮০৯টি শেয়ার মোট ৪২২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৪২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৮ টাকা থেকে ১৫৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দুই টাকা ২৮ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৪৩ পয়সা ও তিন টাকা ২২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ওই বছর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (ইপিএস) হয়েছিল ৫২ পয়সা এবং এনএভি ছিল চার টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৬২ পয়সা ও চার টাকা ৪৬ পয়সা। ওই বছর কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল এক কোটি তিন লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

২৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। চলতি বছরে প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ১৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে এক পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ পয়সা এবং লোকসান হয়েছে ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা এবং কর-পরবর্তী লোকসান ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ২০০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক নয় দশমিক ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, বিদেশি পাঁচ দশমিক শূন্য এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।