নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিনে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তুলনামূলকভাবে কম ভিড় দেখা গেছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় কাউন্টার খোলার পর যাত্রীরা ২৫ জুনের যাত্রার টিকিট কিনতে পেরেছেন অন্যদিনের চেয়ে সহজে। তবে তিস্তাসহ কয়েকটি ট্রেনের টিকিটের চাহিদা ছিল অন্যদিনের মতোই।
সকাল ১০টার দিকে কাউন্টারের সামনের ভিড় কমতে থাকে। রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটের ট্রেনের টিকিট কাউন্টার প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। এবার রোজার ঈদে সরকারি ছুটি ২৫ থেকে ২৭ জুন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে ২৬ জুন ঈদ হতে পারে।
তার আগে ২৩ ও ২৪ জুন শুক্র-শনি সাপ্তাহিক ছুটি মিলে যাওয়ায় অনেকেই ওই দুদিনের টিকিট কিনেছেন। ফলে ঈদের আগের দিনের অর্থাৎ ২৫ জুনের টিকিটের চাহিদা ছিল তুলনামূলকভাবে কম।
সকালে দেওয়ানগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের সামনে কিছুটা ভিড় দেখা গেলেও পড়ে তা কমে আসে। দিনাজপুরের দ্রুতযান, একতা, নীল সাগর এক্সপ্রেসের টিকিট ছিল। তবে লোকজন ছিল কম। একই অবস্থা ছিল রংপুর এক্সপ্রেস এবং লালমনি এক্সপ্রেসের কাউন্টারের সামনেও। সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটের ট্রেনের কাউন্টার প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।
রাজশাহীর পদ্মা এক্সপ্রেসের টিকিট কেনার পর ব্যবসায়ী রানা ইসলাম বলেন, ‘ভিড় গতকালের চেয়ে কম। আজকে অনেক সহজে টিকিট পেয়েছি। বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।’
একই ট্রেনের টিকিট কিনতে আসা জুবায়ের কবির জানালেন, ২৪ জুনের টিকিটের জন্য বৃহস্পতিবারও কমলাপুরে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু না পাওয়ায় শুক্রবার এসেছেন ২৫ তারিখের টিকিটের জন্য। তিনি বলেন, এসি টিকিট চেয়েছিলাম, পাইনি। তবে নন-এসি পেয়েছি। যাক তাও তো বাড়ি যেতে পারব।
তবে কিশোরগঞ্জের কাউন্টারে ভিড় ছিল কিছুটা বেশি। এ কাউন্টারের সামনে নয়ন মিয়া নামে একজন জানালেন, তিনি কমলাপুরে এসে বসে আছেন আগের দিন থেকে।
‘কিশোরগঞ্জের টিকিটের চাহিদা বেশি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা কইরা টিকেট পাইলাম। খুব ভালো লাগতাসে।’
ভিড়ের কারণে বৃহস্পতিবার টিকিট না কিনে ফিরে গিয়েছিলেন আবদুস সালাম। শুক্রবার সকালে এসে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ট্রেনের টিকিট কিনেছেন তিনি।
‘কাল ফিরে গেছিলাম। আজকেও তিস্তার টিকেট পাই নাই। তবে স্পেশালের টিকেট পাইছি।’
শুক্রবার চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনের টিকিটের জন্য অন্যদিনের চেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে কাউন্টারের সামনে। সোনারবাংলার টিকিট কেনার পর মো. তসলিম উদ্দিন নামে একজন বলেন, ‘ফ্যামিলি নিয়ে বাসে যাওয়া খুব ঝামেলার। এজন্য ট্রেনই ভালো। আর সোনারবাংলা ট্রেন নতুন, আরামদায়ক।’
কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘গত দুদিন বেশি ভিড় ছিল। আজকে ২৫ তারিখের টিকিট দেওয়া হচ্ছে, এ কারণে ভিড় একটু কম।’
২৬ তারিখের বদলে ২৭ তারিখে ঈদ হলে সেদিনও ট্রেন সেবা থাকবে বলে স্টেশন ম্যানেজার জানান।
‘পুরো বিষয়টাই চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। যদি ২৬ তারিখ ঈদ না হয় সেক্ষেত্রে আমাদের নিয়মিত ট্রেনগুলো কমলাপুর ছেড়ে যাবে। সেদিন তাৎক্ষণিক টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।’