জাতিসংঘে ক্যারিয়ার  

 

আদীব আরিফ: বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় ক্যারিয়ার গড়ছে বাংলাদেশের তরুণরা। জাতিসংঘের কথাই ধরুন, এখানে চাকরির মাধ্যমে বিশ্বসেবা সম্ভব। এ কারণে জাতিসংঘে ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়ে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে।

তরুণদের উৎসাহিত করতে এ বছরের এপ্রিলের শেষ দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটরিয়ামে ‘জাতিসংঘে ক্যারিয়ার’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস (JUMUNA) কর্মশালাটির আয়োজন করে। কর্মশালায় বক্তারা জাতিসংঘে ক্যারিয়ারের ধরন, কর্মক্ষেত্রের বিস্তৃতি, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা বলেন।

জাতিসংঘে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক দক্ষতাগুলো জেনে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, জাতিসংঘ বিশ্বের সব জাতির একটি সংস্থা। তাই ভাষাগত দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগ দক্ষতা ও নেতৃত্বের যোগ্যতা থাকতে হবে। ইংরেজিতে কথা বলা ও লেখায় দক্ষ হতে হবে। স্প্যানিশ, আরবি, জার্মান ও চায়নিজ জানা থাকলে আরও ভালো। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। দলগতভাবে কাজ করার যোগ্যতা থাকতে হবে। কম্পিউটার ও ইন্টারনেটে ভালো হতে হবে। এছাড়া ভালো প্রেজেন্টেশন, সুন্দর করে কথা বলা, চিন্তাশক্তি, উদ্ভাবন ক্ষমতা, কাজের চাপ সামলানোর দক্ষতা, সাহস ও নেতৃত্বের যোগ্যতাও থাকতে হবে।

স্নাতক অধ্যয়নরতদের জন্য স্বেচ্ছাসেবামূলক বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আপনি শুধু যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার খরচ পাবেন। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের মধ্যে রয়েছে অনলাইন ভলানটিয়ারিং, শিশুপুষ্টি, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, লৈঙ্গিক সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রভৃতি। অনলাইন ভলানটিয়ারিংয়ের জন্য বা অন্য যে কোনো স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের জন্য ইউথোপিয়া বাংলা (youthopiabangla.org) বা ইউএনভি ডট ওআরজি  (unv.org) সাইটগুলোয় গিয়ে নিবন্ধন করলে এ বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়।

স্নাতকোত্তর শেষে জাতিসংঘে পূর্ণকালীন কাজ করতে চাইলে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের ওপর পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে।