কভিডে ২১ জনের মৃত্যু শনাক্ত ১,৯৮৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৪ ঘণ্টায় কভিডে দেশে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৮৭ রোগী; যা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দুই হাজারের নিচে। এ সময় আরও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ হাজার ২৫২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল রোববারের বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ জন। আরও ২১ জনের মৃত্যুতে মহামারিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮ হাজার ৯৬৫। সরকারি হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৯ হাজার ২৫২ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫৮৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। সে হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪২ জন। অর্থাৎ এ সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা এই হিসাবে আসেননি। বাংলাদেশে মহামারি শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে।

কভিডের ডেল্টা ধরনের দাপট পেরিয়ে এসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০০-এর ঘরে নেমে এসেছিল গত বছরের শেষ দিকে। এরপর আসে আরেক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, নতুন বছরের শুরু থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এক পর্যায়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এরপর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ৪ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে আসে ১০ হাজারের নিচে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তা পাঁচ হাজারের নিচে নামে। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১ হাজার ৩৬৫ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৮ শতাংশের বেশি। যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের মধ্যে ১২ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের একজন, সিলেট বিভাগের একজন এবং রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন দুজন।

তাদের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫১ থেকে বছর, একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।