আমির হামজার নাম আসা ভুল ছিল: মন্ত্রী মোজাম্মেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় আমির হামজার নাম আসা ‘ভুল ছিল’ বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

‘জাতীয় পুরস্কার-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা মোজাম্মেল বলেন, ‘যারা সব সত্যকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিভ্রান্ত করেছে, তারা দায় এড়াতে পারবে না। মিটিং করব, ওয়েট অ্যান্ড সি।’

২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল গত ১৫ মার্চ। সেখানে সাহিত্য ক্যাটেগরিতে এ পুরস্কারের জন্য নাগরিক মহলে অচেনা আমির হামজার নাম দেখে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এমন কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে, যাতে ওই পুরস্কারের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়।

এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে ১৮ মার্চ ৯ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গতকাল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে আমির হামজা প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন মন্ত্রী মোজাম্মেল। উত্তরে তিনি বলেন, ‘যে কোনো শক্তির চেয়ে কলমের শক্তি অনেক বেশি। আমরা ভুল করলে ভুল সংশোধন করতে পারি, করেছি। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।’

গত বছরও একজনকে বাদ দেয়া হয়েছে, এমন ভুল কেন বারবার হচ্ছেÑএমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে কমিটির ফোরামে আলোচনা হবে। সেখানে কারা এই কাজ করেছে, আলোচনা হবে। একটা ভুল বারবার হোক, এটা কি কেউ চায়? এখানে দায়িত্ব পালনে ত্রুটি ছিল, না হলে আমাদের ভুল হলো কেন!’ আইফেল টাওয়ার ও স্ট্যাচু অব লিবার্টির ছবি চোখে ভাসলে যেমন ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের কথা মাথায় আসে, তেমনই একটি আইকনিক স্থাপনা বাংলাদেশে করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে এ স্থাপনা করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এককথায় যেন এটার নাম শুনে বোঝে এটা বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে চিনতে পারে, এমন কিছু সিম্বলিক করা হবে। বিজ্ঞজনদের নিয়ে কমিটি করেছি, তারা সাজেশন দেয়নি। আমরা পরবর্তীকালে করব, হয়তো দু-চার বছরও লাগতে পারে। ওটা দিয়েই যেন চেনে এটা বাংলাদেশের।’

মুক্তিযুদ্ধে দেশের আপামর জনসাধারণের স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করায় সাত দিনব্যাপী ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’ অনুষ্ঠান করারও ঘোষণা দেন মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে আগামী ২৫ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং হাতিরঝিলে আন্তর্জাতিক সেমিনার, আলোচনা সভা, মুক্তিযুদ্ধ কনসার্ট, নাট্যানুষ্ঠান, যাত্রাপালা, ড্রোন শো, লাইট অ্যান্ড লেজার শো, আতশবাজি ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ২৫ মার্চ সারাদেশে ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে। আমরা এই অনুষ্ঠানের নাম দিয়েছি ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’।”