সাংবাদিকদের হাসান মাহমুদ

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে বিএনপির বক্তব্য চিন্তার দৈন্যের বহিঃপ্রকাশ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য খাত নিয়ে বিএনপির বক্তব্য তাদের সবকিছুতে কিন্তু খোঁজা আর চিন্তার দৈন্যের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি গতকাল সকালে রাজধানীতে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। খবর: বাসস।

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে গেছে’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে প্রশ্নÑস্বাস্থ্য খাত যদি ধ্বংসই হয়, তাহলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত কীভাবে এই করোনাভাইরাসের তিনটি ঢেউ অনেক উন্নত দেশের তুলনায় অনেক কার্যকরভাবে মোকাবিলা করল?’

কারোনাকালে ১৩০টি দেশ যখন টিকা দেয়াই শুরু করেনি, তখন বাংলাদেশ টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে এবং একসঙ্গে কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাজার হাজার মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বস্তিবাসী, ভাসমান মানুষÑসবাইকে বিনা রেজিস্ট্রেশনে যেভাবে টিকা দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের মতো জনবহুল এবং উন্নয়নশীল কোনো দেশে এমন কার্যক্রম কমই হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব কারণেই অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক কার্যকরভাবে এই মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে এবং মহামারির সময় অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবাও চলমান ছিল।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিবও প্রশংসা করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রশংসা করে, মির্জা ফখরুল সাহেবরা করতে পারেন না। বিএনপির সবকিছুতে কিন্তু খোঁজা এবং চিন্তার দৈন্যের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য।’

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমতির দিকে। পেঁয়াজ ও শাকসবজি থেকে শুরু করে মুরগির দাম কমতির দিকে। সরকার মনিটরিং করছে, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ তিনি বলেন, ‘তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা একদিকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে, অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ী, যারা সিন্ডিকেট করে তাদের পণ্য মজুত করা এবং পণ্যমূল্য বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দিচ্ছে, কিন্তু নানামুখী ষড়যন্ত্রের মধ্যেও সরকারের বিবিধ পদক্ষেপের কারণে পণ্যের মূল্য এখন কমতির দিকে।’