শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রযুক্তি জগতে এরই মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশই বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বৈধতা দেয়া শুরু করেছে। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কাজ করছে। কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্যমতে, প্রতি বিটকয়েনের দাম এখন ৪০ হাজার ১৫৫ ডলার। ক্রিপ্টো ফার্ম নেক্সোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এক বছরের মধ্যে বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ডলার স্পর্শ করবে। এ পর্যন্ত বিটকয়েনের সর্বোচ্চ দাম ৬৮ হাজার ৯৯০ ডলার হয়েছিল। ক্রেনচেভ বলেন, ১২ মাসের মধ্যেই বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। খবর: সিএনবিসি।
এর আগেও ২০২০-এর জানুয়ারিতেও ক্রেনচেভ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে বছর শেষে বিটকয়েনের দাম ৫০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। যদিও সে সময় তার ভবিষ্যদ্বাণী হয়নি। ২০২০-এর শেষে বিটকয়েনের সর্বোচ্চ দাম দাঁড়ায় ২৯ হাজার ডলার। কিন্তু তার দুই মাস পরই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিটকয়েনের দাম ৫০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে বিটফিনিক্সের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা পাওলো আরদোইনো একমত নন ক্রেনচেভের সঙ্গে।
ক্রেনচেভ বলেন, আমরা ক্রিপ্টোর ভলিউম কমে যেতে দেখছি, এমনকি কয়েক সপ্তাহ ধরে বিটকয়েনের ভলিউমও পড়তির দিকে। বিটকয়েনের দাম ৪০ হাজার ডলারের নিচে নেমে যেতে পারে ও বছর শেষে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ হাজার ডলার হতে পারে।
বিটকয়েন: বিটকয়েন হলো এক ধরনের অনলাইন মুদ্রা বা জিডিটাল কারেন্সি। ২০০৯ সালে এটি উদ্বোধন করেন উদ্ভাবক সাতোসি নাকামোতো (ছদ্মনাম)। তবে অস্ট্রেলীয় নাগরিক ক্রেগ রাইটসও নিজেকে বিটকয়েনের উদ্ভাবক বলে দাবি করেন।
বলা হচ্ছে, এ মুদ্রার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। একজনের ব্যক্তিগত ওয়ালেট থেকে আরেকজনের ওয়ালেটে লেনদেন হয়। এই ওয়ালেট হলো ব্যক্তিগত ডাটাবেজ, যা কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ক্লাউড যাতে তথ্য সঞ্চিত থাকে। বিটকয়েন ব্যবস্থা এতটাই গোপনীয় যে ব্যবহারকারীরাও নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে পারেন। এ কারণে যারা তথ্য গোপন রাখতে চান, তাদের মধ্যে বিটকয়েন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।