নিজস্ব প্রতিবেদক; পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, আমরা নদী থেকে বালু ওঠানো বন্ধ করতে চাচ্ছি না। তবে যেখান থেকে ওঠানোর কথা বলছি সেখান থেকেই যেন ওঠানো হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বালু উত্তোলনে আমরা একটা নীতিমালা করছি, যা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। নীতিমালায় আমরা বলেছি, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বালু উত্তোলন করতে হবে, যাতে জনগণ দেখে। রাতে বালি উত্তোলন যেন না হয়।
গতকাল সচিবালয়ে গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
এ সময় তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বালুমহাল আছে। জেলা প্রশাসন এসব ইজারা দেয়। জেলা প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা আছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে বালুমহাল ঘোষণা করতে হবে। তবে বালি ওঠানো আমরা বন্ধ করতে পারব না। বালি ওঠানো বন্ধ করলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে। বালির দাম বাড়বে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি আমরা যেখান থেকে বলব সেখান থেকে যেন উত্তোলন করা হয়। কিন্তু অনেকে রাতের আঁধারে নদীর কিনারা থেকে বালু তোলে। যেখান থেকে ওঠায় সেখানে ব্লক থাকে, বাঁধ থাকে। সেখানে যদি লোহা দিয়ে বাঁধ দেয়া হয়, সেটাও টিকবে না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ পর্যন্ত ১৭ হাজার কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করেছি। অতীতে যারা এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, তারা ভাঙন এলাকায় কম গেছেন। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক একজন ঠিকাদার ৫০ থেকে ৭০টি কাজ নিয়ে বসে আছেন। সে কাজগুলো তারা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারছেন না। তারা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না জানতে চাইলে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে ১১ জন ঠিকাদার ছিল। এক একজন ডিপিএমে (সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি) ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার কাজ পেতেন। আমরা একটি কাজও ডিপিএমে দিইনি। আমরা বলেছি, এই ১১ জন ঠিকাদার কাজ শেষ না করা পর্যন্ত নতুন করে কোনো কাজ পাবে না। কাজগুলো শেষ করার পর সেই পুরোনো ১১ জনকে এখন কাজ দিচ্ছি। এখন নির্দেশনা হচ্ছে একজন ঠিকাদার তিনটির বেশি কাজ করতে পারবেন না।’
বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যার ভিন্ন ভিন্ন তথ্য রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনও নদ-নদীর সংখ্যা বের করতে পারিনি। তবে অফিশিয়ালি বাংলাদেশে ৪০৫টি নদী প্রবাহিত হচ্ছে।’
