কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হুশিয়ারি

ব্যাংকের পরিচালকরাও মানছেন না আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন ভেঙে পরিচালকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাংকের প্রয়োজানীয় পণ্য ও সেবা কিনছে ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকের কোনো পণ্য ও সেবা ক্রয়ে পরিচালক বা পরিচালকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। আর থাকলে নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, ব্যাংক-কোম্পানি পরিচালনায় স্বার্থের সংঘাত পরিহার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ১৮(২) ধারার বিধান পরিপালনের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং ০২-এর মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার নি¤œতর দুই স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ ও পারিবারিক ব্যবসায়িক স্বার্থ-সংশ্লিষ্টতার বিবরণ বার্ষিক ভিত্তিতে পর্ষদে দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ মর্মে অবহিত হয়েছে যে, ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ১৮ ধারার উপ-ধারা (৭) ও উপ-ধারা (৮) এ বর্ণিত স্বার্থের সংঘাত পরিহার ও প্রত্যেক গ্রাহকের স্বীয় স্বার্থের সমতা নিশ্চিতকরণ-সংক্রান্ত বিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য, সেবা প্রভৃতি প্রকিউরমেন্ট তথা ক্রয় ও সংগ্রহ-সম্পর্কিত কার্যক্রমে কোনো কোনো ব্যাংকের পরিচালক বা পরিচালকের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে, যা ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তরায় সৃষ্টি করছে।

তাই ব্যাংক-কোম্পানি পরিচালনায় স্বার্থের সংঘাত পরিহার করার লক্ষ্যে আমানতকারীসহ অন্যান্য গ্রাহক এবং ব্যাংক-কোম্পানির স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ার লক্ষ্যে এ মর্মে নির্দেশনা দেয়া যাচ্ছে যে, ব্যাংকের কোনো পণ্য, সেবা প্রভৃতি ক্রয় ও সংগ্রহ বা প্রকিউরমেন্ট-সম্পর্কিত কার্যক্রমে পরিচালনা পর্ষদের কোনো পরিচালক বা পরিচালকের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত হতে পারবেন না।

বলা হয়, ওপরে বর্ণিত নির্দেশনাগুলো পরিপালন নিশ্চিতকল্পে এই সার্কুলার জারির অব্যবহিত পরবর্তী পরিচালনা পর্ষদের সভায় সার্কুলারের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করে এতদ্বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।