জলবায়ু পরিবর্তনের তথ্য ব্যবহারে ক্রিলিক সেন্টার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আবহাওয়া মানব ইতিহাসে সভ্যতা ও বাণিজ্যের বিস্তারে ব্যাপক প্রভাব রেখেছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মুখীন বিশ্বে আবহাওয়া সম্পর্কে অতীতের অনুমান এখন আর সত্য নয়। তদুপরি বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য পরিণতি হিসেবে আরও তীব্র ও ঘন ঘন চরম আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল ও ঘাতসহিষ্ণু অবকাঠামো এবং সম্পদ বিনির্মাণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের নীতি নির্ধারকদের সহজলভ্য, বিশ্বাসযোগ্য ও প্রসঙ্গিক জলবায়ু তথ্যের প্রয়োজন। বর্তমানে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ জলবায়ুু তথ্য সহজলভ্য হলেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাওয়া, বোঝা এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন। যার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়, আঞ্চলিক, জাতীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এলজিইডির অবকাঠামোগুলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি সহিষ্ণু করে তুলতে গ্রহণ করা হয় গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড, জার্মান উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তাপুষ্ট ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার মেইনস্ট্রিমিং প্রজেক্ট (সিআরআইএমপি)। এ প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৮ কোটি ডলার, যার মধ্যে চার কোটি ডলার গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ), জার্মান সরকার কেএফডব্লিউর মাধ্যমে দেড় কোটি ডলার এবং আড়াই কোটি ডলার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা হিসেবে এসেছে।

সিআরআইএমপির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় অবকাঠমোর পরিকল্পনা, তদারকি, রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জলবায়ু সহিষ্ণুতাকে পদ্ধতিগতভাবে সমন্বয় সাধন করা। সিআরআইএমপি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে স্থানীয় পাইলট অবকাঠামোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে এবং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লোকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেন্টার (ক্রিলিক) স্থাপনের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে এবং গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের নিন্মোক্ত প্রভাবক স্তরগুলোয় অবদান রাখবে: সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ, সম্প্রদায় এবং অঞ্চলের সহনশীলতা বৃদ্ধি ও জীবিকার উন্নয়ন; জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি থেকে অবকাঠামো এবং পরিবেশের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে জলবায়ু তথ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি।