শেয়ার বিজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি বা বেলাউট নিয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নয় সদস্যের এক প্রতিনিধিদল এখন শ্রীলঙ্কায়। গত সোমবার শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে সংস্থার প্রতিনিধিদলের আলোচনা শুরু হয়েছে। খবর: রয়টার্স।
গত এপ্রিলে প্রথমবারের মতো নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করে আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত দ্বীপরাষ্ট্রটি। সংকটে পড়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয় সরকার। এরপরই ভঙ্গুর অর্থনীতির গতি ফেরাতে আইএমএফসহ দাতা সংস্থাগুলোর কাছে ৩০০ কোটি ডলার সাহায্য চাইতে শুরু করে দেশটির সরকার।
আইএমএফ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সোমবার শ্রীলঙ্কার জন্য ১৭তম ঋণ কর্মসূচি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটির প্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে চলা সংকট নিয়ে জনমনে অসন্তোষ বেড়েছে। এদিন বিক্ষোভকারীরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি ফটক অবরুদ্ধ করে দেন। এতে আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে বের হতে পারছিলেন না মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। পরে পুলিশ পাহারা দিয়ে তাদের সেখান থেকে বের করে নিয়ে যায়।
এদিকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমাতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, শ্রীলঙ্কায় ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে পারে সরকারের এ পদক্ষেপ।
১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সংকটে দেশটির সরকার খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির মতো নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছে না। পেট্রল ও ডিজেল সংগ্রহের জন্য জ্বালানি স্টেশনগুলোয় ভিড় করা মানুষের নজিরবিহীন দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসব স্টেশনে সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পেট্রল ও ডিজেলের তীব্র সংকটের কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সব বিভাগ, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে যান চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে।