কমলাপুরে ঢাবি শিক্ষার্থী রনি কেন হাতে শিকল বেঁধে অবস্থান করছে জানতে চান হাইকোর্ট


নিজস্ব প্রতিবেদক : রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা এবং যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে কমলাপুর রেলস্টেশনে মহিউদ্দিন রনি কেন অবস্থান নিয়েছেনÑ তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার (২০ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চ রনির বিষয়ে তথ্য জানানোর জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে বলেন।
সকাল ১১টার দিকে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ বসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিকের কাছে রনির অবস্থানের কারণ জানতে চান আদালত। মানিক বলেন, আমরাও পত্রিকা ও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, রেলপথে টিকিটবাণিজ্য ও অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন ঢাবির ওই শিক্ষার্থী।
আদালত তখন বলেন, ঘটনা কী, খোঁজ নিন। কমলাপুর রেলস্টেশনে একজন ছেলে দিনের পর দিন অবস্থান করছেন, সবখানে বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন সমস্যা সমাধান করা যায় কি না।
প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিতে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করছেন। শুরুতে একা আন্দোলন করলেও পরে তার বন্ধু, সহপাঠীসহ বেশ কজন শিক্ষার্থীও অবস্থান নেন। কদিন ধরে সেখানে তারা গান, কবিতা, পথনাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।
আন্দোলনের কারণ হিসেবে রনি জানান, গত ১৩ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনের আসন নিবন্ধনের চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা সংস্থা বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে তার পিন কোড ছাড়াই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়া হলেও ট্রেনের কোনো আসন পাননি তিনি। এমনকি কেন টাকা নেয়া হলো, তারও কোনো ব্যাখ্যা নেই। কোনো রসিদও দেয়া হয়নি তাকে।