আফগানিস্তানে মসজিদে হামলা, নিহত ২০

People inspect the inside of a mosque following a bombing in Kunduz province northern Afghanistan, Friday, Oct. 8, 2021. A powerful explosion in the mosque frequented by a Muslim religious minority in northern Afghanistan on Friday has left several casualties, witnesses and the Taliban's spokesman said. (AP Photo/Abdullah Sahil)

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে খায়ের খান্নায় সিদ্দিকিয়া মসজিদে বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত বুধবার মাগরিবের নামাজের সময় চালানো এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। খবর: আলজাজিরা।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ওই মসজিদের ইমাম মোল্লা আমির মোহাম্মদ কাবুলিও রয়েছেন।

একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। তবে এএফপিসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ১০ বলে জানিয়েছে।

তালেবানের গোয়েন্দা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বিস্ফোরণে ৩৫ জন আহত অথবা নিহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

রাজধানীতে একটি হাসপাতাল পরিচালনা করে থাকে ইতালীয় বেসরকারি সংস্থা ইমার্জেন্সি। সংস্থাটি জানিয়েছে, আহত ২৭ জনকে তারা চিকিৎসা দিয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচটি শিশু।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কতজন তা উল্লেখ করেননি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকারী ও হোতাদের তাদের অপরাধের জন্য শিগগির শাস্তি পেতে হবে।

সংবাদ সংস্থাগুলোকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তর কাবুলের উপকণ্ঠে এ মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মসজিদের ইমাম মোল্লা আমির

মোহাম্মদ কাবুলিও রয়েছেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশে নিরাপত্তা ফেরানোর দাবি করে আসছে তালেবান। কিন্তু এর মধ্যেই প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী।

সাম্প্রতিক মাসগুলোয় চালানো বেশিরভাগ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের অনুসারী ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ (আইএসকেপি/আইএসআইএস-কে)।

গত সপ্তাহে কাবুলের একটি মাদ্রাসায় চালানো বোমা হামলায় তালেবানের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি নিহত হন বলে জানান তালেবান কর্মকর্তারা। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট।