কামরাঙ্গীরচরে কৃষকের বাজার উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষক ও ভোক্তা সুবিধা নিশ্চিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কামরাঙ্গীরচরে এলাকাভিত্তিক কৃষকের বাজার উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের আওতায় এটি রাজধানীর তৃতীয় কৃষকের বাজার। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ডিএসসিসিতে এটিই প্রথম কৃষকের বাজার। কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া ইউনিয়ন থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাইকৃত ১০ নিরাপদ চাষি তাদের উৎপাদিত সবজি ও ফলমূল এ বাজারে বিক্রি করবেন। প্রতি শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কামরাঙ্গীরচরের শেখ জামাল স্কুলের সামনে ও নদীর পাড়ে এ বাজার বসবে। এলাকাবাসীর জন্য স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাদ্যের জোগান দিতে বাজারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় ডিএসসিসি, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সম্মিলিত উদ্যোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে কৃষকের বাজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

কামরাঙ্গীরচর কৃষকের বাজার উদ্বোধন করেন ডিএসসিসির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজনে বক্তব্য রাখেন কেরানীগঞ্জের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল আমীন, কামরাঙ্গীরচরের মেট্রোপলিটন কৃষি কর্মকর্তা মুশফিকা সুলতানা, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জাভিয়ে বোয়ান, ফুড সিস্টেম পলিসি ইকনোমিস্ট পেদ্রো আন্দ্রেস গার্জন ডেলভো। আরও বক্তব্য রাখেন কলাতিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের টেকসই কৃষি বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীর আলম, পুষ্টি ও লিঙ্গ বিশেষজ্ঞ মাসুমা চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণের সিটি সমন্বয়ক শরীফা পারভীন। 

ডিএসসিসির কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ছোট পরিসরে সপ্তাহে এক দিন কৃষকের বাজারটি আয়োজিত হচ্ছে। তবে আমরা এটিকে স্থায়ী বাজারে পরিণত করতে চাই। যেন এলাকাবাসী প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারেন। কৃষকদের পানি ও শৌচাগার সুবিধা নিশ্চিতের জন্য বিদ্যালয়ের সামনের সড়কটি কৃষকের বাজার আয়োজনের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে।

কেরানীগঞ্জের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল আমীন বলেন, এই কৃষকের বাজারে কলাতিয়া ইউনিয়ন থেকে ১০ জন কৃষক এসেছেন। তারা সবাই নিরাপদ চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষিত। শুধু দেশের বাইরে রপ্তানি নয়, দেশের মানুষের জন্যও আমরা নিরাপদ খাদ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে চাই।

কামরাঙ্গীরচরের মেট্রোপলিটন কৃষি কর্মকর্তা মুশফিকা সুলতানা বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষকরা বিষের মাত্রা ও সবজি সংগ্রহের সময়কাল সম্পর্কে জানেন। পাশাপাশি তারা ক্ষতিকর রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করেন।