আতাউর রহমান: বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারের ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল খায়ের হিরো। অভিযোগ রয়েছে, গত দুই বছরে কয়েক ডজন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে পরিবারসহ কয়েকশ কোটি টাকা বাজার থেকে মুনাফা করেছেন তিনি। কিন্তু এর বিপরীতে তিন দফায় গত তিন মাসে হিরো ও তার পরিবারকে জরিমানা করা হয়েছে মাত্র ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এটাকে হাস্যকর বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের অভিযোগ হিরোকে দৃষ্টান্তমূলক জরিমানা না করে তার দায়মুক্তির চেষ্টা করছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকার সময় থেকেই পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হিরো। তবে গত দুই বছর আগেও হিরো পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টদের কাছে এতটা পরিচিত ছিলেন না। কিন্তু বর্তমান কমিশন দায়িত্বে আসার পর সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু শেয়ার নিয়ে ‘গ্যাম্বলিং’ করার কারণে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টদের কাছে সমালোচনার পাত্র হয়ে ওঠেন তিনি। কয়েক ডজন শেয়ার নিয়ে হিরোর কারসাজির বিষয়ে শুধু বাজার-সংশ্লিষ্টরাই নন, খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও ওয়াকিবহাল বলে বিনিয়োগকারীরা মনে করেন। তা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে তেমন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। নামমাত্র বা ‘আইওয়াশ’ করতে দু-একটি শেয়ারের কারসাজির বিষয়ে ছোট ছোট জারিমানা করে বিএসইসি গত দুই বছর ধরে বড় এই কারসাজিকারী ও তার পরিবারকে দায়মুক্ত করে রাখছে বলে দাবি করছেন বাজার-সংশ্লিষ্ট অনেকে।
সবাই বলছেন, কারসাজিতে হিরোর পরিবারের নাম এলেও মূলত সব কলকাঠি নাড়েন হিরো এবং সে বিষয়ে বিএসইসির তেমন কোনো নজর নেই। আবার অনেক কিছু দেখে ও জেনেও না দেখার বা না জানার ভান করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিএসইসির মতে হিরো ও তাদের মতো ‘গেম্বলাররা’ থাকলে নাকি বাজার কিছুটা ভালো থাকে। এতে বাজারে সূচক ও লেনদেনের উত্থানের ধারা কিছুটা অব্যাহত থাকে। তবে তাদের যদি কঠোর নজরদারিতে আনা হয় বা বাজার থেকে বের করে দেয়া হয়, তবে বাজারকে ভালো অবস্থানে নিতে সময় লাগবে। বিএসইসির এমন চিন্তা-ভাবনার কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্ষমতা ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এবং সমালোচনা করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
তথ্যমতে, সরকারের কাছ থেকে হিরো বছরে বেতন-ভাতা পান সর্বসাকুল্যে সাত থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা। তবে গত বছরের জুনের শেষে তিনি যে আয়কর নথি জমা দিয়েছেন, তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ওই অর্থবছর শেষে তার নিট সম্পদমূল্য ২০ কোটি ২১ লাখ টাকা ছিল, যা আগের বছর ছিল ৬৫ লাখ টাকার কম। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে তার বেড়েছে সাড়ে ১৯ কোটি টাকার সম্পদ। আবার ঋণসহ মোট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৮৭ কোটি টাকায়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এটা শুধু তার একার এবং এখন থেকে এক বছর আগের তথ্য। এদিকে হিরোর স্ত্রী কাজী সাহিদা হাসান (তখন গৃহিণী) ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজার থেকে আয় করেছেন ৫০ কোটি টাকার বেশি। তার বৃদ্ধ বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মাতবরের ওই সময়ের আয় ২০ কোটি টাকার বেশি। ছোট বোন কনিকা আফরোজ তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তারও ওই বছরে আয় পৌনে ১৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে পুরো পরিবারের আয় প্রায় ১০৬ কোটি টাকা। এ আয়ের সবটা মিলে তাদের পরিবারের মোট সম্পদমূল্য এক বছর আগেই ২৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ছাড়ায়, যা ২০১৯ সালের শেষে ছিল মাত্র দুই কোটি টাকা। এ আয় ও সম্পদের কোনো কিছুই তার বাবা, স্ত্রী বা বোনের অর্জন নয়। আয়কর নথিতে উল্লেখ করা বাবার ৬১ লাখ টাকার সম্পদের বাইরে বাকি সবই পুঁজিবাজারের ব্যবসার অর্জন, যা মূলত হিরো কারসাজি করে আয় করেছেন।
শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে আয় করে বর্তমানে বেশ কয়েকটি কোম্পানির মালিক হয়েছেন তিনি ও তার স্ত্রী। মোনার্ক মার্ট নামে নতুন ই-কমার্স সাইট, মোনার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, মোনার্ক নামে সিকিউরিটিজ হাউসসহ ক্রিকেটে বিপিএলের গত আসরে অন্যতম প্রধান ফ্র্যাঞ্চাইজি বরিশাল ফরচুনের মালিক ছিলেন তিনি। অপরদিকে ফরচুন সুজের দুই শতাংশ শেয়ার কিনে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত করেছেন তার স্ত্রীকে। এবারের বিপিএলের আসরেও দল কিনবেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে আরও কিছু ব্যবসা তার রয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে হিরো একা এসব ব্যবসা করছেন না, তার সঙ্গে রয়েছেন ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। হিরোর সব ব্যবসায় তার অংশীদারিত্ব রয়েছে। অথচ এই ক্রিকেটার একদিকে বিএসইসির শুভেচ্ছাদূত, অপরদিকে একজন শেয়ার ব্যবসায়ী। তাহলে সাকিব আল হাসান বিএসইসির শুভেচ্ছাদূত হয়ে হিরোর মতো পরিচিত কারসাজিকারীর সঙ্গে মিলে কীভাবে শেয়ার ব্যবসা করছেন এবং তার সঙ্গে অন্য ব্যবসায় অংশীদারিত্বে রয়েছেন, তা নিয়ে বিএসইসির দিকেই আঙুল তুলছেন সবাই। এ বিষয়ে সব জেনেও কীভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা চুপ করে আছে, তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন সবাই।
হিরোকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার পর বিএসইসি দু-একটি শেয়ারে কারসাজি দেখিয়ে ‘আইওয়াশ’ কাছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, আবুল খায়ের হিরো ও তার সহযোগীরা গত বছরের মাঝামাঝি থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ধারাবাহিক লেনদেনের মাধ্যমে সাতটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করে এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার দখল করে। এ কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। কোম্পানি সাতটি হলোÑবিডিকম অনলাইন, ওয়ান ব্যাংক, ফরচুন শু, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স ও ঢাকা ইন্স্যুরেন্স। এ সাত কোম্পানির শেয়ার কারচুপির দায়ে হিরো, তার পরিবার ও সহযোগীদের মোট ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। বিএসইসির মতে, সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে তারা ৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লাভ করেছে। অথচ এই জরিমানা আদায়কৃত লাভের মাত্র ২৩ শতাংশ। এ সময় হিরো ও তার সহযোগীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টে শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে ‘আনরিয়েলাইজড গেইন’ বা অবাস্তব লাভ হিসেবে ৬১ কোটি টাকা রয়েছে।
তদন্তে প্রতিবেদন অনুসারে শেয়ার কারসাজিতে হিরো, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, বাবা আবুল কালাম মাতবর, বোন কনিকা আফরোজ, শ্যালক কাজী ফরিদ হাসান ও তার কোম্পানি মোনার্ক হোল্ডিং, ডিআইটি কো-অপারেটিভ এবং দেশ আইডিয়াল ট্রাস্টের বিও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কারসাজির মাধ্যমে সাতটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়, যা চলতি বছরের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত কমিশন সভায় কারসাজিকারীদের ওপর জরিমানা করা হয়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আরও ৯টি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেখানে হিরো ও তার পরিবার দুই বছরের মধ্যে শেয়ার ব্যবসায় কারসাজির মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকা আয় করেছে এবং সব শেয়ারেই আনরিয়ালাইজড ও রিয়ালাইজড মুনাফা অনেক, সেখানে বিএসইসি মাত্র তাদের মুনাফা ২৩ শতাংশ জরিমানা করেছে। তাহলে বাকি টাকা যে বাজার থেকে তুলে নিল এবং যেসব বিনিয়োগকারীর টাকা তারা নিয়েছে, তাদের কী হবে? এটা তো দৃশ্যমান যে, যা কারসাজি করে মুনাফা করেছে আর ২৩ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু যেগুলো এখনও কেউ জানে না, বা অনেক কারসাজি আছে, যেগুলোর মুনাফা সম্পর্কে কারও ধারণা নেই, সেগুলোর কী হবে? তারা বলেন, হিরো শুধু এই দৃশ্যমান ৬১ কোটি টাকাই মুনাফা করেনি, এছাড়া আরও অনেক মুনাফা রয়েছে। নাহলে এ অল্প সময়ে সে আর তার পরিবার কীভাবে কয়েকশ কোটি টাকা শেয়ার ব্যবসায় কারসাজি করা ছাড়া আয় করল?
তারা বলেন, বিএসইসির আচরণে আস্থা সংকটে ভুগছে পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করছে, আর হিরোর মতো বিএসইসির দায়মুক্ত আচরণের সুযোগ নিয়ে তাদের টাকা নিয়ে যাচ্ছে, যে কারণে বাজার তারল্য সংকটে থাকে। আবার সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রলোভনে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। দু-একজন কিছুটা লাভবান হলেও বেশিরভাগই ভোগান্তিতে পড়ছেন। এজন্য হিরোর মতো সব কারসাজিকারীকে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় আনা উচিত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উচিত তাদের ও সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া।
আরও জানা যায়, হিরো পুঁজিবাজার থেকে কারসাজির মাধ্যমে যা মুনাফা করছেন, তার একটি অংশ নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ আরও অনেক প্রভাবশালীদের কাছে যায়।
এ বিষয়ে জানতে হিরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তার পিএস ফোন রিসিভ করে বলেন, স্যার একটু ব্যস্ত আছেন, তিনি ফ্রি হলে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জানাচ্ছি। এরপর একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে আর ফোন রিসিভ করেননি এবং প্রতিবার লাইন কেটে দেন।
বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম শেয়ার বিজকে বলেন, যখন কোনো শেয়ার কারসাজি নিয়ে তদন্ত করা হয়, তখন একটি নির্দিষ্ট সময় শেয়ার লেনদেনকে কেন্দ্র করে করা হয়। তদন্ত যে তথ্য নিয়ে শুরু করা হয়, সেক্ষেত্রে তদন্ত শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, তখন অনেক তথ্যই আর আইন ভঙ্গের মধ্যে থাকে না। আবার তদন্ত শুরুর সময় যে আনরিয়ালাইজড গেইন থাকে, তদন্ত চলাকালে সে সময়ের লেনদেন ও শেয়ারদরের ভিত্তিতে সে গেইনও অনেক কমে যায়।
তিনি আরও বলেন, শেয়ার লেনদেনের বিষয়ে বেশ কিছু সাপোর্টিং নথি ছাড়াও সে সময়ে বাজারে শেয়ারদরের অবস্থানের বিষয়ে তথ্য নেয়া হয়। অভিযোগকারীদের শুনানিতে ডাকার পর সেখানে দেয়া তাদের বক্তব্য, সাপোর্টিং নথি ও তথ্য এবং বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগের দেয়া সব নথি ও তথ্যসহ কমিশনের কাছে শাস্তির বিষয়ে আবেদন করা হয়। এরপর আইন অনুযায়ী সর্বনিন্ম এক লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ আনলিমিটেড অনুসারে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগ থেকে দেয়া সাপোর্টিং নথি ও তথ্য এবং তাদের দেয়া শেয়ার লেনদেনের সাপোর্টিং তথ্য ও শুনানিতে বক্তব্য অনুসারে কী পরিমাণ কারসাজি করেছে, সে অনুসারে শাস্তি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অর্থনীতিবিদ শেয়ার বিজকে জানান, বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজার জুয়াড়িদের হাতে রয়েছে। এ কারণে বাজারে কিছুটা লেনদেন হচ্ছে, নাহলে এতটা লেনদেন হতো না। বিএসইসিও এ বিষয়ে ভালো করে জানে এবং সবকিছুই দেখে। কিন্তু বিএসইসি সবকিছু দেখেও কেন চুপ করে আছে বুঝি না। এ বিষয়ে বিএসইসির আন্তর্জাতিক কার্যক্রম অনুসরণ করা উচিত। কিন্তু বিএসইসি নিজেই জুয়াড়িদের পক্ষে কথা বলে বাজারে লেনদেন ভালো রাখার জন্য। তাদের নিয়ে একসঙ্গে চা-ও নাকি খায় বলে শোনা যায়। তাহলে বিএসইসির কাছ থেকে আর কী কঠিন শাস্তি আশা করা যায় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এক ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান কর্মকর্তা জানান, হিরো বাজারে একা কারসাজি করছেন না, এর সঙ্গে আরও অনেকে সম্পৃক্ত। ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা, বিভিন্ন কোম্পানি, ব্রোকারেজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারাসহ বাজার-সংশ্লিষ্ট অনেকে রয়েছেন, যে কারণে হিরো একা কারসাজি করে কোনো মুনাফা করছেন না, আবার তিনি যে মুনাফা করছেন, তার একটা অংশ নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেন, যে কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা দায়সারাভাবে জরিমানা করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক শেয়ার বিজকে বলেন, আমরা একটা স্থিতীশীল পুঁজিবাজার চাই, যেখানে সূচকের ওঠানামা থাকবে। কিন্তু এখানে কারসাজির মাধ্যমে অনেকেই টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে বিএসইসি তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনছে না। ফলে নামমাত্র জরিমানা দিয়ে তারা পার পেয়ে যাচ্ছেন। এই দায়মুক্ত জরিমানার ফলে ভবিষ্যতে অনেকে কারসাজির সুযোগ পাচ্ছেন। কারণ তারা কারসাজির মাধ্যমে যে পরিমাণ মুনাফা করবে, তার তুলনায় জরিমানা অনেক কম হবে। তাই বিএসইসির উচিত কারসাজিকারীদের কঠিন শাস্তির আওতায় এনে পুঁজিবাজার থেকে মুনাফাকৃত সব অর্থ বাজেয়াপ্ত করা এবং তাদের শাস্তি দিয়ে কারাগারে পাঠানো। এতে কারসাজি কমে আসবে এবং কারসাজিকারীদের সঠিক শাস্তি হবে বলে তিনি জানান।