নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুফল পেতে হলে বাংলাদেশকে ট্রেড ফেসিলিটেশন বা বাণিজ্য সহজীকরণের নীতি ও পদ্ধতিগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। গতকাল রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। এ প্রেক্ষাপটে তারা ব্যবসা-বাণিজ্যের পদ্ধতি সরলীকরণ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইআরডির সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প (এসএসজিপি) ও মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) যৌথভাবে ‘আগমেন্টিং কমপিটিটিভনেস বাই ইম্প্রুভিং ট্রেড ফেসিলিটেশন’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং এমসিসিআই’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান।
কর্মশালার মূল বিষয়বস্তুর ওপর উপস্থাপনা প্রদান করেন ইউএসএইডের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ট্রেড একটিভিটি’-এর সিনিয়র কাস্টমস স্পেশালিস্ট মো. রইচ উদ্দিন খান।
কর্মশালার প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ড. আবদুল মান্নান শিকদার, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক আসিফ আশরাফ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ।
বক্তারা বলেন, একটি দেশের সার্বিক বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের গতি আনয়নে বাণিজ্য সহজীকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাণিজ্য সহজীকরণের জন্য বাণিজ্য-সংক্রান্ত নিয়ম, নীতি ও পদ্ধতিগুলোর প্রয়োজনীয় আধুনিকীকরণ ও সমন্বয়সাধন প্রয়োজন। বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবসা-বাণিজ্যের দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অর্জন এবং বাণিজ্য সম্পাদনে সময় ও খরচ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত রপ্তানির সুবিধা ক্রমেই উঠে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব নিরসনের লক্ষ্যে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেশের সার্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব বাণিজ্য সহজীকরণ নীতিপদ্ধতিগুলো বাস্তবায়ন করা অত্যাবশ্যক বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।