নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার উন্নয়নের নগরবাসীর নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরে দুটি কৃষকের বাজার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ১৫নং ওয়ার্ডে কৃষকের বাজার উদ্বোধন হয়েছে এবং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভোক্তা ও কৃষকের উপকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয়ের পাশে খানপুরের ডন চেম্বারে নগরে দ্বিতীয় কৃষকের বাজারটি গতকাল উদ্বোধন করা হয়।
নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের (ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট) সম্মিলিত উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডে কৃষকের বাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
কৃষকের বাজারটি উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্থার পরিচালক গাউস পিয়ারী। আরও বক্তব্য দেন নারয়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম, সিটি করপোরেশনের প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা কে এম ফরিদুল মিরাজ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জাভিয়ে বোয়ান, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ফারজানা ইয়াসমিন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার রূপালী খাতুন এবং নারায়ণগঞ্জের সমাজসেবক রহিমা শরীফ মায়া।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু বলেন, মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। তার নির্দেশনায় এ বাজারটি আয়োজিত হচ্ছে। কৃষকের বাজারে আগত সব কৃষক কৃষি সম্প্রসারণ কর্তৃক বাছাইকৃত এবং নিয়মিত মনিটরিং করা হবে, যাতে পণ্যের মান নিশ্চিত করা যায়। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থাকে এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
মিনোয়ারা বেগম বলেন, বর্তমানে বাজার বিষাক্ত ও অনিরাপদ খাবারে ভরে গেছে। সেখানে নিরাপদ খাবারের কৃষকের বাজার আমাদের জন্য একটি স্বস্তি। কৃষকদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী পণ্য নিয়ে আসবেন। তাহলে ভোক্তা ও কৃষক উভয়ই উপকৃত হবে।
কে এম ফরিদুল মিরাজ বলেন, নিরাপদ খাদ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিতে সিটি করপোরেশন নিরলস কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় রেস্তোরাঁর খাবারের মান উন্নয়ন, ছাদবাগান, নগরকৃষি, কৃষকের বাজার বিভিন্ন বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কৃষকের বাজারের মাধ্যমে যেন নগরবাসী নিরাপদ খাবার সহজে ও সুলভে পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিয়মিত মনিটরিং ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জাভিয়ে বোয়ান বলেন, এটি নারায়ণগঞ্জের দ্বিতীয় কৃষকের বাজার। কৃষকের বাজার কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা নগরবাসীর কাছে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রত্যাশা এ বাজার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের উপকার নিশ্চিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ১২নং ওয়ার্ডের সচিব সিয়াম, বক্তাবলী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল হক, আবু সিদ্দিক ভূঁইয়া, ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের নারায়ণগঞ্জের ফুড সিস্টেম সিটি কো-অর্ডিনেটর মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।