শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরাসরি বৈঠকে বসবেন। তাদের আলোচ্যসূচির শীর্ষে তাইওয়ানই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে ‘জি-২০’ শীর্ষ সম্মেলনের মধ্যে এ দুই নেতার মুখোমুখী বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। খবর: বিবিসি, রয়টার্স।
বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দুই নেতার মধ্যে এবারই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক হতে যাচ্ছে। বহুল আকাক্সিক্ষত এ শীর্ষ বৈঠকটি এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে যখন বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে সম্পর্ক বেশ তিক্ত। তাইওয়ান ইস্যু ও এশিয়ায় বেইজিংয়ের কথিত ‘আগ্রাসী রূপ’ এ তিক্ততায় ঘি ঢালছে বলে মত পশ্চিমা বিশ্লেষকদের।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস বলেছে, শি-বাইডেন বৈঠকের ফলাফল তাইওয়ানকে জানানো হবে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে তাইওয়ানকে ‘নিরাপদ ও স্বস্তিতে’ রাখা।
অন্যদিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল ধারণা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনের সঙ্গে কাজ করা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র কম্পিউটার চিপ প্রযুক্তিতে চীনের প্রবেশাধিকারে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতিকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি এ সবকিছুর নির্মাণ ও বিক্রিতে প্রযুক্তির ব্যবহার চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম নিয়ামক।
কভিড মহামারির প্রায় পুরোটা সময়ই শি চীনে ছিলেন, তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় তাকে দেশের বাইরে যেতে দেখা যাচ্ছে।
বাইডেন বলেছেন, তিনি তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে ‘কোনো ধরনের মৌলিক ছাড়’ দিতে রাজি নন।
বেইজিং স্বশাসিত তাইওয়ানকে তার বিচ্ছিন্ন প্রদেশ এবং দ্বীপটি একদিন মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্রিত হবে বলেই মনে করে। অন্যদিতে তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম দেশ হিসেবেই দেখে।
যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্টদের মতো বাইডেন অবশ্য তাইওয়ান নিয়ে কৌশলী থাকছেন না; বারবারই বলছেন, চীন আক্রমণ চালালে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেবে।
শি’র সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করার পর বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেন বাইডেন।