খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ ধসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু ও পাঁচজন গুরুতর আহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকার সুরাজ খানের ছেলে জালাল খান গতকাল মঙ্গলবার জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতে পিটিশন দিলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম। খবর: বাংলা ট্রিবিউন।

মামলায় আসামি করা হয়েছেÑখাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা, ঠিকাদার সেলিম ও সাব-ঠিকাদার প্রাণতোষ প্রকাশ প্রানন্ত বাবু।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবহেলা করে হত্যাকাণ্ড সংগঠনসহ নিহত ও আহত শ্রমিকদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ফৌজদারি অপরাধ করেছে। তাদের শাস্তি দাবি করে জালাল খান অভিযোগ দিয়েছে। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬(৩) ধারা মতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে দায়ের করার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ অক্টোবর বিকাল আনুমানিক পৌনে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের সামনে নতুন করে নির্মাণ করা ছাদের একটি অংশ ধসে পড়লে দুই শ্রমিক মারা যান ও পাঁচজন গুরুতর আহত হন। মৃত এক শ্রমিক খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সবুজবাগ এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২২), অন্যজন হচ্ছেন বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার কালিগাতি এলাকার সোহরাব শিকদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)।

আহতরা হলেনÑসদর উপজেলার শালবন এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে রোকন (৩৮), আবদুস সালামের ছেলে হানিফ মিয়া (২৫), মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে সোহেল (২০), থলিপাড়ার এলাকার লালু চান মিয়ার ছেলে হাসান (২৪), মাটিরাঙার আবদুল খালেকের ছেলে হানিফ (২০)।

এই ঘটনার দিন তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়াকে আহ্বায়ক, খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে সদস্য করে পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলেও সেটি এখনও দেয়া হয়নি।