শেয়ার বিজ ডেস্ক: পেরুর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দিনা বলুয়ার্তে। দেশটির বামপন্থি প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলিওকে গত বুধবার ক্ষমতাচ্যুত করার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর: বিবিসি।
দিনভর নানা নাটকীয়তার পর ৬০ বছর বয়সী আইনজীবী দিনাকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়। এর আগে তিনি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
দিনা জানিয়েছেন, মেয়াদ অনুযায়ী তিনি ২০২৬ সালের জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। সংকট উত্তরণে তিনি রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন।
কংগ্রেস ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন কাস্তিলিও। তার এ তৎপরতাকে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তাই কংগ্রেসের জরুরি অধিবেশন ডেকে কাস্তিলিওকে অভিশংসন করেন আইনপ্রণেতারা। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাস্তিলিওকে অভিশংসন করতে বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়। কংগ্রেসে অভিশংসন ভোট হয়।
১০১ জন আইনপ্রণেতা কাস্তিলিওকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। অভিশংসনের বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ছয়টি। ১০ জন ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকেন।
অভিশংসনের পর কাস্তিলিওকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। আগে দুইবার তাকে অভিশংসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
উত্তেজনাপূর্ণ দীর্ঘ নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের জুলাইয়ে পেরুর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন কাস্তিলিও।
চলতি বছরের গত ৬ জুন পেরুতে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে কাস্তিলিওর প্রতিপক্ষ ছিলেন ডানপন্থি কিকো ফুজিমোরি। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেন ফুজিমোরি। তাই অভিযোগ পর্যালোচনা শেষে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে প্রায় দেড় মাস সময় লাগে।
গত বুধবার পেরুর জাতীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে কাস্তিলিও জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা করেন। তিনি জানান, কংগ্রেস ভেঙে দেয়া হবে। তিনি কারফিউ জারি করবেন বলে জানান।
কাস্তিলিওর এ ঘোষণায় সংকট আরও ঘনীভূত হয়। দেশ-বিদেশে শুরু হয় সমালোচনা। এর প্রতিবাদে দেশটির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।