প্রতিনিধি, কক্সবাজার : বঙ্গোপসাগরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন নয়জন সাঁতারু। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ৩১ সাঁতারু।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় দেশের সর্বদক্ষিণ সীমান্ত টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে সাঁতার শুরু করেন তারা। এদের মধ্যে ৯ জন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সক্ষম হন। সাগর উত্তাল থাকায় বাকিরা যেতে পারেননি।
অদম্য ৩১ সাঁতারু সকাল ৯টা ৫ মিনিটে শুরু করে তাদের যাত্রা। যেখানে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী রোজিনা পারভিন ইতি, যিনি ৩১ সাঁতারুর মধ্যে একমাত্র নারী সদস্য।
তিনি জানান, ‘প্রথম সাগর পাড়ি দেয়ার অনুভূতি অন্যরকম। এইখানে ভয় আছে, আছে ভয়মুক্তির সাহসও।
অন্যদিকে আয়রনম্যান খ্যাত মো. শামসুজ্জামান আরফাত এনিয়ে ৯ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন।
২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রয়াত কাজী হামিদুল হক শুরু করেন এই বাংলা চ্যানেল সাঁতার। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পর্কে বিশ্বকে জানান দিতে এই আয়োজন বলে জানান বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা লিপটন সরকার।
ষড়জ এডভ্যাঞ্চার ও এক্সট্রেম বাংলার ১৭তম এই আসরে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিয়েছে বগুড়ার ১৫ বছর বয়সী কিশোর রাব্বী।
সাঁতারু মনিরুজ্জামান জানান, ‘সর্বনিম্ন ৩ ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা সাঁতার ভেদে সময় লাগবে।
শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্র সৈকতের পশ্চিমের পাড় থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ১৬.১ কিলোমিটারের এই বাংলা চ্যানেল সাঁতার সম্পন্ন হবে।