মীরসরাইয়ে প্রতিবেশীকে গৃহবন্দি করতে চলাচলের রাস্তায় দেয়াল

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে একটি পরিবারকে গৃহবন্দি করতে চলাচলের রাস্তায় দেয়াল তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা চলাচলের রাস্তা দেয়াল তোলায় ক্ষোভ বেড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। শুধু তাই নয়, সরকারি খাসজমিও তারা দখল করে রেখেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মীরসরাই উপজেলার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হিঙ্গুলী এলাকার দারোগার টিলা নামক স্থানে। দারোগা বাড়ির চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় অসহায় পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে এখন।

সরেজমিনে দারোগাবাড়িতে দিয়ে দেখা যায়, ভাঙা একটি ঘরে ৭ সদস্য নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মোকন মিয়া। রাস্তা না থাকায় অসুস্থ ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারছেন না। এছাড়া ওই বাড়ির সামনে থাকা প্রায় ২৯ শতাংশ খাসজমিও অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা।

মোকন মিয়া জানান, ‘আদালতের আদেশ অমান্য রাস্তা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার তাইজুল ইসলাম ও ছালামত উল্লা গং চলাচলের রাস্তায় প্রায় ১০ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে’। মোকন মিয়া আরও জানান, স্বাধীনতার আগে তিনিই প্রথম দারোগাটিলা নামক স্থানে বাড়ি নির্মাণ করেন। পরে ছালামত উল্ল্যাহ গং আশপাশের জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে চলচলের পথ সরু করে এবং পরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়।

মোকন মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার বড় ছেলে আলসারের কোলাইসটিস রোগে অসুস্থ। চলাচলের রাস্তা না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া যাচ্ছে না।

স্থানীয় সেতু নামের এ্রক প্রতিবেশী জানান, আমরা ছোটবেলায় দারোগাবাড়িতে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারতাম। কিন্তু এখন চলাচলের রাস্তাই নেই। এটা খুবই অমানবিক। যার ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছালামত উল্যা বলেন, আমার জায়গায় আমি স্থাপনা নির্মাণ করেছি। কেউ কি কারও জায়গা ছেড়ে দেয়?

হিঙ্গলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া বলেন, ব্যাপারটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ হয়ে আসছে। তবে হাঁটার রাস্তা কেউ বন্ধ করতে পারে না।

উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, চলাচলের পথ বন্ধ করার কোনো নিয়ম নেই। যেকোনো প্রকারে চলাচলের পথ বের করে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, শিগগিরই যথাযথ আইনের মাধ্যমে সরকারি জমিও উদ্ধার করা হবে।