ডিএনসিসি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা

২৮ জেলায় ছড়িয়েছে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় মহাখালীর ডিএনসিসি কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেডের আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সম্প্রতি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চলতি মৌসুমে আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ।

আইইডিসিআরের তথ্যমতে, দেশে ২০০১ সালে মেহেরপুরে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে এর সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব হয় ২০০৪ সালে ফরিদপুর জেলায়। সেখানে ৩৫ জন আক্রান্ত হন এবং মারা যান ২৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শেখ দাউদ আদনান জানান, দেশে এই পর্যন্ত ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের খবর আমরা পেয়েছি। এর মধ্যেই ভাইরাসটি এ বছর ৯ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে।

দাউদ আদনান বলেন, প্রথম আউটব্রেক থেকে যে জায়গাগুলোয় নিপাহ ভাইরাস পাওয়া গেছে। সব জেলাই আমাদের দৃষ্টিতে সন্দেহভাজন। কোনো একটি জেলায় একবার হয়েছে, সেটিও সংক্রমিত জেলা। এক জেলায় একবার হয়েছে মানে যে ওই জেলায় আর হবে না, এমন তো নয়।

জানা গেছে, ২০০১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাস ছড়িয়েছে। তবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, দেশে এ যাবৎ ৩২টি জেলায় এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, রোগী দেখার সময় আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। রোগী দেখার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। জ্বরের উপসর্গ দেখা গেলে রোগীকে আবশ্যিকভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখতে হবে। জ্বরের সঙ্গে অজ্ঞান অবস্থা দেখা দিলে রোগীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখতে হবে। আইসিইউতে থাকাকালে রোগীর পরিচর্যাকারীরা শুধু গ্লাভস ও মাস্ক পরলেই হবে। কেননা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী থেকে বাতাসের মাধ্যমে ওই ভাইরাস ছড়ায় না। যেহেতু আইসিইউতে রেখে এই রোগীর চিকিৎসা করা যায়, সে জন্য রেফার করার প্রয়োজন নেই। যেকোনো তথ্যের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কল সেন্টারে ১৬২৬৩ অথবা ৩৩৩ যোগাযোগ করতে হবে।