ড. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা: ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহতায়ালার বিধান মেনে চলার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন, ব্যয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রেও আল্লাহতায়ালার বিধান মেনে চলা আবশ্যক। ইসলামি শরিয়াহ্ আলোকে আমানত গ্রহণ ও বিনিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রেও ইসলামে রয়েছে সুনির্দিষ্ট কাঠামো। আধুনিক যুগে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালিত হবে সেই বিষয়ে কোরআন, হাদিস, ইজমা এবং কিয়াসের রয়েছে সমাধান। যুগে যুগে ইসলামি গবেষকরা বর্তমান আর্থিক কাঠামোর সঙ্গে তালমিলিয়ে ইসলামি আর্থিক কাঠামোর রূপরেখা দিয়েছেন। সেই রূপরেখা অনুযায়ী ইসলামি ব্যাংকগুলো আমানত গ্রহণ ও বিনিয়োগ প্রদানসহ অন্যান্য আর্থিক সেবা দিয়ে থাকে। ইসলামি শরিয়াহ্ অনুমোদন করে, এমন সব খাতেই ইসলামি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ করে থাকে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৫ এর উপধারা অনুযায়ী ‘ব্যাংক ব্যবসা’ অর্থ কর্জ প্রদান বা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে জনসাধারণের নিকট থেকে আমানত গ্রহণ করে, যা চাহিবামাত্র বা অন্য কোনোভাবে পরিশোধযোগ্য এবং চেক, ড্রাফট, আদেশ বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে প্রত্যাহারযোগ্য। সাধারণত ব্যাংকের কার্যাবলিকে ব্যাংকিং হিসেবে অবহিত করা হয়। ইসলামি ব্যাংকগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহক চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা বা পরিষেবা দিয়ে আসছে।
আল-ওয়াদিয়াহ্ ও মুদারাবা হিসাবের টাকার একটি অংশ ইসলামি ব্যাংকগুলো একাধিক পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করে থাকে। ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থায় প্রচলিত বিনিয়োগ কার্যক্রমগুলোকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১. অংশীদারি পদ্ধতি, ২. বাই পদ্ধতি এবং ৩. ইজারা বা ভাড়া পদ্ধতি।
১. অংশীদারি পদ্ধতি:
অংশীদারি পদ্ধতি আবার দুই প্রকার, যথা: ক. মুদারাবা এবং খ. মুশারাকা।
২. বাই পদ্ধতি:
বাই বা ক্রয়-বিক্রয় পদ্ধতিকে আবার প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: ক. বাই মুরাবাহা, খ. বাই
মুয়াজ্জাল, গ. বাই সালাম, এবং ঘ. বাই ইসতিসনা।
৩. ইজারা বা ভাড়া পদ্ধতি:
এই পদ্ধতিটিকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা: ক. লিজিং বা ইজারা, খ. হায়ার পার্চেজ (ক্রয়ের চুক্তিতে ভাড়া/ইজারা বিল বাই), এবং গ. হায়ার পারচেজ আন্ডার শিরকাতুল মিল্ক (মালিকানায় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভাড়ায় ক্রয়-এইচপিএসএম)।
এসব বিনিয়োগ পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলোÑ
১. অংশীদারি পদ্ধতি:
ক. মুদারাবা পদ্ধতি (উদ্যোক্তার মাধ্যমে বিনিয়োগ):
আরবি ‘দারবুন’ শব্দ থেকে মুদারাবা শব্দের উৎপত্তি। যা ফার্সি ভাষা থেকে উদগত ও আররি ভাষায় বহুল ব্যবহ্রত শদ্ধ। যার অর্থ হচ্ছে ভ্রমণ করা। এক পক্ষ পুঁজি ও অপর পক্ষ শ্রম দিয়ে যে ব্যবসা পরিচালিত হয় তাকে মুদারাবা পদ্ধতি বলে। এক্ষেত্রে যে পক্ষ মূলধন সংগ্রহ করে তাকে সাহিব-আল-মাল বলে। এখানে ব্যাংক হলো সাহিব-আল-মাল। অপরদিকে যে পক্ষ ব্যবসায় পরিচালনা করে তাকে মুদারিব বলে। এখানে গ্রাহক হলো মুদারিব। এক্ষেত্রে চুক্তি অনুযায়ী মুনাফা বণ্টন হয়। ব্যবসায়ে কোনো ক্ষতি হলে সাহিব-আল-মাল বহন করবে।
খ. মুশারাকা পদ্ধতি: মুশারাকা মূলত আরবি শব্দ ‘শিরকাত’বা ‘শরিকাত’ থেকে মুশারাকা শব্দের উৎপত্তি। উৎপত্তিগত দিক থেকে মুশারাকা অর্থ অংশীদারিত্ব। অতএব মুশারাকা বলতে এমন একটি অংশীদারি কারবারকে বোঝায়, যেখানে দুই বা ততধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে মূলধন জোগান দেয়, কারবার পরিচালনা করে এবং লাভ-লোকসানে অংশগ্রহণ করে।
মুশারাকা দুই ভাগে বিভক্ত। যথা: ১.শিরকাতুল মিলক্ বা মালিকানায় অংশীদারিত্ব, ২. শিরকাতুল আকদ্ বা চুক্তিভিত্তিক অংশীদারিত্ব।
শিরকাতুল আকদ্ বা চুক্তিভিত্তিক অংশীদারিত্ব চার প্রকার। যথা: ১. শিরকাতুল মুফাওয়াদা, ২. শিরকাতুল ইনান, ৩. শিরকাতুল সানায়ে এবং ৪. শিরকাতুল উজুহ।
২. বাই পদ্ধতি:
ক. মুরাবাহা পদ্ধতি (লাভে বিক্রি): বাই মুরাবাহা হলো চুক্তির ভিত্তিতে লাভে বিক্রি। ইসলামি শরিয়াহ্ দৃষ্টিতে মুরাবাহা বলা হয়, কোনো পণ্যের ক্রয় মূল্যের সঙ্গে নির্দিষ্ট লাভের পরিমাণ উল্লেখ করে নগদে বা ভবিষ্যতে নির্ধারিত কোনো সময়ে একসঙ্গে বা কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে ক্রেতা-বিক্রেতার সম্মতিক্রমে মুনাফা ধার্য করে নির্দিষ্ট পরিমাণ শরিয়াহ্ অনুমোদিত পণ্য বিক্রি করাকে বোঝায়। মুরাবাহার ভিত্তিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো বিনিয়োগকারী গ্রাহকের চাহিদামতো পণ্য কিনে তা নিজের বা তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা উকিল নিয়োগ করে তা কবজায় নিয়ে তারপর গ্রাহকের নিকট বুঝিয়ে দেয়া।
খ. বাই মুয়াজ্জাল (বাকিতে বিক্রি): বাই মুয়াজ্জাল শব্দ দুটি আরবি বাই এবং আজল শব্দ থেকে এসেছে। বাই শব্দটির অর্থ ক্রয়-বিক্রয় আর আজল শব্দটির অর্থ নির্ধারিত সময়। ফলে বাই মুয়াজ্জাল হলো এমন একটি বিনিয়োগ পদ্ধতি যেখানে নির্ধারিত সময়ে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করার শর্তে বাকিতে বিক্রি করা। এর মানে হলো ভবিষ্যতে নির্ধারিত সময়ে কিস্তিতে বা একসঙ্গে পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করার শর্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ শরিয়াহ্ অনুমোদিত পণ্য বিক্রি করাকে বাই মুয়াজ্জাল বলে। শর্ত হলো পণ্য ক্রয় করে মালিকানা লাভ করে বিক্রি করতে হবে। তবে পণ্যের দাম ও মুনাফা গ্রাহককে বলতে ব্যাংক বাধ্য নয়।
গ. বাই সালাম (অগ্রিম ক্রয়): বাই সালাম শব্দ দুটি আরবি ‘বাই’ এবং ‘সিলমুন’ শব্দ থেকে এসেছে। বাই শব্দটির অর্থ ক্রয়-বিক্রয় আর ‘সিলমুন’ শব্দটির অর্থ অগ্রিম। সুতরাং বাই সালাম মানে অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়। শরিয়াহ অনুমোদিত কোনো পণ্য ভবিষ্যতে নির্ধারিত কোনো সময়ে সরবরাহের শর্তে এবং তাৎক্ষণিক সম্মত মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য অগ্রিম বিক্রি করাকে বাই সালাম বলে। কৃষিক্ষেত্র ও কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করা হয়। বাই সালামের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অগ্রিম ক্রয়, আগে দাম পরে পণ্য সরবরাহ করা, চুক্তির সময় পণ্যের অস্তিত্ব থাকতে পারবে না, পণ্যের নাম, বিবরণ, পরিমাণ, গুণাগুণ, আকার ইত্যাদি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
ঘ. বাই ইসতিসনা (অর্ডারের ভিত্তিতে ক্রয়):
ইসতিসনা শব্দটি আরবি ‘সানাআ’ শব্দ থেকে এসেছে। সানাআ শব্দের অর্থ শিল্প। পারিশ্রমিকের বিনিময়ে শরিয়াহ অনুমোদিত কোনো পণ্য বা দ্রব্য নির্ধারিত কোনো সময়ে একসঙ্গে বা কিস্তিতে সম্মত মূল্য পরিশোধের শর্তে ক্রেতার আদেশে নির্দিষ্ট পণ্য তৈরি বা উৎপাদন করে বিক্রি করাকে বাই ইসতিসনা বলে। বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে ইসতিসনা মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক হবে সানি বা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাহক হলো মুস্তাসনি বা বাড়ির মালিক। যদি ব্যাংক কোনো ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে ইসতিসনা চুক্তি করলে সেক্ষেত্রে ডেভেলপার কোম্পানি হবে সানি এবং ব্যাংক হবে মুস্তাসনি। অতঃপর ব্যাংক সেই প্রতিষ্ঠানে অর্থ ছাড় করবে এবং চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংক বাড়িটি বুঝে নেবে। পরে ব্যাংক প্রথম চুক্তি অনুযায়ী বাড়িটি গ্রাহককে বুঝিয়ে দেবে এবং গ্রাহক কিস্তিতে বাড়িটির মূল্য পরিশোধ করবে। বাই ইসতিসনার বৈশিষ্ট্য হলোÑপণ্যের দাম অগ্রিম/এককালীন/কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। আবাসিক ভবন নির্মাণে এটি একটি উপযোগী পদ্ধতি।
৩. ইজারা বা ভাড়া পদ্ধতি:
ক. ইজারা পদ্ধতি:
ইজারা আরবি শব্দ। এটি আজর বা উজরাত থেকে এসেছে। যার অর্থ মজুরি, আয়, প্রতিদান, ভাড়া ইত্যাদি। সেবার বিনিময়ে অর্থ বা সেবার বিনিময়ে সেবা গ্রহণের ওপর যে চুক্তি হয়, তাকে ইজারা পদ্ধতি বলে। মূলত ইজারা এমন এর ধরনের ব্যবসায়িক চুক্তি, যেখানে ভাড়াগ্রহীতা নির্ধারিত ভাড়া প্রদানপূর্বক ভাড়া গ্রহীতার পক্ষ থেকে ভাড়াদাতার সম্পদ থেকে সেবা ভোগ করে। প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো স্থায়ী সম্পদ ক্রয় করে ভাড়া বা ইজারা দেয়া এবং মেয়াদ শেষে ফেরত নেয়া, রূপান্তর ও ঝুঁকি থাকবে।
খ. হায়ার পারচেজ (ক্রয়ের চুক্তিতে ভাড়া বা ইজারা বিল বাই):
হায়ার পারচেজ এমন একটি বিনিয়োগ পদ্ধতি যেখানে একপক্ষ কোনো স্থায়ী প্রকৃতির সষ্পত্তি ক্রয় করে তা নির্ধারিত ভাড়াও ও ক্রয়মূল্য নির্ধারিত কিস্তিতে পরিশোধ শর্তে অন্যপক্ষের নিকট বিক্রি করে থাকে। এই বিনিয়োগের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বিনিয়োগকৃত সম্পদের মালিক হওয়া, ঝুঁকি বহন করা এবং সম্পদের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত মালিক থাকা।
গ. হায়ার পারচেজ আন্ডার শিরকাতুল মিল্ক-এইচপিএসএম (মালিকানায় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভাড়ায় ক্রয়):
হায়ার পারচেজ আন্ডার শিরকাতুল মিল্ক এমন একটি চুক্তি যেখানে তিনটি পক্ষ জড়িত। পক্ষগুলো হলো শিরকাত, ইজারা এবং বিক্রয়। শিরকাত শব্দের অর্থ অংশীদারিত্ব। শিরকাতুল মিল্ক শব্দের অর্থ মালিকানায় অংশীদারিত্ব। হায়ার পারচেজ আন্ডার শিরকাতুল মিল্ক হলো দুটি পক্ষ সম বা অসম অনুপাতে পুঁজি জোগান দিয়ে কোনো সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক পরস্পর সম্মতিতে ভাড়া ও বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে নির্দিষ্ট কিস্তিতে ভাড়া ও আসল পরিশোধের শর্তে একপক্ষের অংশ অন্য পক্ষের নিকট ভাড়া দেয় ও সম্পদটি বিক্রয় করে থাকে। প্রধান বৈশিষ্ট্য হলোÑকিস্তির টাকা পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গে আসলের কিস্তির পরিমাণ মালিকানা হস্তান্তরিত হয়।
এছাড়া অন্যান্য যেসব পদ্ধতির মাধ্যমে বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদিত হয়ে থাকে, সেগুলো হলো-
১. ওয়াকালা (প্রতিনিধিত্ব):
ওয়াকালা এমন এক ধরনের চুক্তি যেখানে এক পক্ষ অপর পক্ষকে কোনো নির্দিষ্ট কাজের জন্য তার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেয়। যে ব্যক্তি কাজটি করার জন্য দায়িত্ব নেয় তাকে প্রতিনিধি বলা হয়। ওই কাজের জন্য ফি বা সম্মানি দেয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ একজন গ্রাহক কোনো ইসলামি ব্যাংকে প্রস্তাব দেয় যে কোনো একজন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে অর্থ পরিশোধ করার জন্য। ব্যাংক এক্ষেত্রে প্রতিনিধি এবং কাজের জন্য ফি বা সম্মানি নিয়ে থাকে।
২. বাই ইনাহ:
যেখানে বিক্রেতা ক্রেতার কাছে একটি পণ্য বিক্রয় করে। এরপর ক্রেতা অধিক মূল্যে বিক্রেতার কাছে তা বিক্রয় করে। মালয়েশিয়া বাই ইনাহ ব্যবহার করে থাকে। অনেকের মতে এটি একটি সাজানো ক্রয়-বিক্রয় পদ্ধতি।
৩. তাওয়াররুক:
মালয়েশিয়া তাওয়াররুক ব্যবহার করে থাকে। তাওয়াররুক প্রাথমিকভাবে মুরাবাহার মতো। এর মূল কথা হলো, ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্য একটি মূল্যে বাকিতে ক্রয় করার পর অতিরিক্ত মূল্যে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির কাছে নগদে বিক্রয় করে। ক্রেতার নগদ টাকার ব্যবস্থা হয়ে যায়, যা সে মূল বিক্রেতাকে কিস্তিতে পরিশোধ করে। ইনাহর সঙ্গে এর মূল পার্থক্য হলো, দ্বিতীয় বিক্রয়টি বিক্রেতা ভিন্ন তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পাদিত হয়। ক্রেতার দ্বিতীয় বিক্রয় যদি সাজানো না থাকে এবং এটি যদি কোনোভাবেই প্রথম বিক্রেতার কাছে পণ্য ফেরত পৌঁছানোর উদ্দেশ্য না হয়, তাহলে এর বৈধতার পক্ষে মত আছে। তবে সাজানো হলে বা প্রথম পক্ষের কাছে পণ্য ফেরত পৌঁছানো এবং নিছক ঋণের বিনিময় উদ্দেশ হলে অনেকেই একে ইনাহর মতো হারাম গণ্য করেন।
আধুনিক ডিজিটাল বিশ্বে সময়ের সঙ্গে ব্যবসায়ের ধরন ও পদ্ধতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তিত বিশ্বে ব্যবসায়ীদের মূলধনের প্রয়োজনীতার আলোকে বিনিয়োগ পদ্ধতিও পরিবর্তিত হচ্ছে। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলামি ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ের ধরন ও চাহিদার আলোকে বিনিয়োগ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনছে। ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আর্থ-সামাজিক কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার জন্য যুগোপযোগী বিনিয়োগ পদ্ধতি প্রণয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ইসলামি ব্যাংকিং গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সময়ের দাবি।
কর্মকর্তা
শরিয়াহ সেক্রেটারিয়েট
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
drmdgulammustafa@gmail.com