শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা অজ্ঞাত বস্তু (বেলুন) নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের মন্টেনা রাজ্যে আটলান্টিক মহাসাগরে একটি রহস্যময় বেলুন ভূপাতিত করে মার্কিন বিমানবাহিনী। এরপরই সাগর থেকে বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে নামে কোস্টগার্ডের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সেনাবাহিনী দাবি করেছে, বেলুনটির সেন্সর উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে তারা। খবর: সিএনএন।
সাদা রঙের বিশালাকার বেলুনটি মন্টানার আকাশে দেখা যাওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর নজরদারি চালাতে বেলুনটি পাঠিয়েছিল চীন।
সেন্সর উদ্ধারের ব্যাপারে ইউএস নর্দান কমান্ড বলেছে, ‘সার্চ ক্রুরা গুরুত্বপূর্ণ ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সেন্সর ও ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ।’ এখন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত নিজেদের আকাশসীমা থেকে তিনটি বেলুন-সদৃশ বস্তু ভূপাতিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার ভূপাতিত বেলুনটির সবচেয়ে বড় অংশটিও উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৩০ থেকে ৪০ ফুট লম্বা এন্টেনা।
এদিকে চীন স্বীকার করেছে বেলুনটি তাদের। তবে তারা দাবি করেছে, এটি একটি ওয়েদার ডিভাইস (আবহাওয়া যন্ত্র)। যেটি দিয়ে আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে চীনের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা স্পষ্ট দাবি করেছে, শুধু নজরদারি চালানোর জন্যই বেলুন পাঠিয়েছে বেইজিং।
মার্কিন কর্মকর্তারা আরও দাবি করেছেন, চীন গত কয়েক বছর ধরে বেলুন ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর নজরদারি চালাচ্ছে।
এদিকে এ বেলুন-কাণ্ড নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বেইজিং সফর বাতিল করেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে থাকা কূটনৈতিক সম্পর্ক আরেকটু খারাপ হয়েছে।
এদিকে গত সোমবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দাবি করছেন, ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত চীনের আকাশে ১০ বারের বেশি যুক্তরাষ্ট্রের বেলুন উড়ছিল।