মিয়ানমারের ওপর ইইউ’র নতুন নিষেধাজ্ঞা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীসহ জান্তা সরকারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর ষষ্ঠ দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সম্প্রতি এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। খবর: আল-জাজিরা।

নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৯ কর্মকর্তা, জান্তা সরকারের জ্বালানি মন্ত্রী, কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও সেনাবাহিনীকে জ্বালানি, অস্ত্র-তহবিল সরবরাহকারী কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানি। সবমিলিয়ে দেশটির ৯৩ জন ব্যক্তি ও ১৮টি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউয়ের এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

ইইউয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মিয়ারমার সেনাবাহিনীকে বিমান হামলা ও অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহ সীমিত করা। পাশাপাশি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা।

এক বিবৃতিতে ইইউ জানায়, অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী ও  সহিংসতার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তাদের সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। ইইউ যৌন সহিংসতা, নাগরিক সমাজের কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও বেসামরিক নাগরিকদের নিপীড়নসহ অধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

ইইউয়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মিয়ানমারের জ্বালানি মন্ত্রী মিও মিন্ট, সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মং মং আই, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মো অং ও সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহকারী তিনটি সংস্থার প্রধান রয়েছেন। এছাড়া মেজর জেনারেল কো কো মং, কাচিন রাজ্যের আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডার, ইয়াঙ্গুনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মায়ো মিন্ট রয়েছেন।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের রাজনীতিবিদ ও প্রশাসকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যারা ২০২২ সালের জুলাই মাসে চারজন গণতন্ত্রপন্থি কর্মী হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া গণহত্যা, বিমান হামলা ও বেসামরিকদের মানবঢাল হিসেবে কাজ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় তাদের এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

মিয়ানমারের ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকার ইইউয়ের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। এদিকে, মিয়ানমারের মানবাধিকার গোষ্ঠী বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের নির্বাহী পরিচালক আনা রবার্টস বলেন, ইইউ সঠিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।