প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর:লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার একটি ডোবায় মিলল বস্তাবন্দি কঙ্কাল। এছাড়া সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জে ডোবা থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বুধবার বিকালে রামগঞ্জের ভাটরা ইউনিয়নের নান্দিয়ারা গ্রামের একটি ডোবায় মাছ ধরতে গিয়ে ইট দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দুটি বস্তা দেখতে পান জেলেরা। একটি বস্তার মুখ খুলতেই বেরিয়ে আসে টি শার্ট পরিহিত মানুষের মাথার খুলি ও হাড়। বিলটি লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের মালিকানাধীন ইটভাটার অদূরে রামগঞ্জ-শাহরাস্তি সড়কের উত্তর পাশে অবস্থিত।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকালে মাছ ধরতে গিয়ে একদল জেলে বস্তা দুটি দেখতে পান। রশি দিয়ে ও বেশ কয়েকটি ইটের সঙ্গে বস্তা দুটি বাঁধা ছিল বলে জানান তারা। পরে কৌতূহলবশত একটি বস্তা খুলতেই মিলল নীল রঙের টি-শার্ট পরা এক মৃতদেহের কঙ্কাল। জামার বুক পকেটে একটি চিরুনি রয়েছে। পাশে আরও একটি বস্তা রয়েছে, ভয়ে তারা সেটি খোলেননি। ঘটনার পরপর বিষয়টি রামগঞ্জ থানা পুলিশকে জানান স্থানীয়রা।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম বুলবুল জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ এসে কঙ্কাল ও মাথার খুলি তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে। তবে আরেকটি বস্তায় কিছু পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে কঙ্কালের খুলিসহ অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া হাড় ও কঙ্কাল এবং মাথার খুলির ডিএনএ টেস্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ফাতেমা খাতুন (১০৫) নামে শতবর্ষী এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদ ধর্মপুর গ্রামে একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফাতেমা ওই গ্রামের মমিন উল্যার স্ত্রী।
নিহতের স্বজনরা জানান, তিন দিন আগে ফাতেমা খাতুন পার্শ্ববর্তী আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হন। এর পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল সকালে বাড়ির পাশের ডোবায় তার মরদেহ ভাসতে দেখেন স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।