শেয়ার বিজ ডেস্ক: সিরীয় ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের দিকে রকেট ছোড়ার জবাবে সিরিয়ায় পাল্টা গোলা নিক্ষেপ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। লেবানন, গাজা, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যেই সিরিয়ায় এ হামলা চালাল ইসরাইল। খবর: আল জাজিরা।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, গতকাল রোববার ভোরে সিরিয়ার ভূখণ্ড থেকে দুই দফায় ইসরাইলের উদ্দেশে রকেট হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে প্রথম দফায় ছোড়া তিনটি রকেটের একটি ইসরাইলের অধিকৃত গোলান উপত্যকায় পড়ে। দ্বিতীয় দফায় আরও তিনটি রকেট ছোড়া হয়। এরপর উত্তর ইসরাইলে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার জবাবে সিরিয়ায় রকেট নিক্ষেপের স্থানে গোলা ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ইসরাইলের। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সিরীয় সরকার।
লেবাননভিত্তিক আল-মায়াদিন টিভি জানিয়েছে, সিরীয় ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলে রকেট হামলার দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড।
আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলের পুলিশের সশস্ত্র অভিযানের ফলে ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সিরিয়া থেকে ইসরাইলে এ রকেট হামলা চালানো হয়।
এর আগে গত বুধবার (৫ এপ্রিল) পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থাপনা আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। সে সময় গ্রেপ্তার করা হয় কমপক্ষে ৪০০ ফিলিস্তিনিকে।
এর পরের দিন আল-আকসায় ফের তাণ্ডব চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় মুসল্লিদের ওপর স্টান গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়। আল-আকসা থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের।
মসজিদটিতে ইসরাইলের তাণ্ডবের পর অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হন অনেক ফিলিস্তিনি। এছাড়া নাবলুসে ইসরাইলি বাহিনীর ছোড়া বিষাক্ত গ্যাসে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি আহত হন। হেবরনের উত্তর সিটিসংলগ্ন বাইত উমর, জেনিন-বেথেলহেমেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, গত বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে ইসরাইলের উদ্দেশে ৩৪টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি আকাশেই ধ্বংস করা হয় এবং অন্তত চারটি রকেট ইসরাইলের ভূমিতে আঘাত হানে।
