ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য বৈঠক

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসা ও বাণিজ্য-বিষয়ক কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। এটি বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির নেতাদের মধ্যে বিরল সরাসরি কথোপকথন বলে জানায় ভয়েস অব আমেরিকা।

এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে বিষয়গুলোর ওপর অকপট ও সারগর্ভ আলোচনা করেছেন।

বাণিজ্য বিভাগ আরও বলেছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক যোগাযোগের উš§ুক্ত লাইন বজায় রাখার এবং দায়িত্বের সঙ্গে পরিচালনা করার জন্য চলমান প্রচেষ্টার অংশ ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বছরের নভেম্বরে বালিতে চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং তারপর ওয়াশিংটনে এই বাণিজ্য আলোচনাটি ছিল বাইডেন প্রশাসনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে মার্কিন ও চীনা কর্মকর্তাদের প্রথম মন্ত্রিসভা পর্যায়ের বৈঠক।

ওয়াং যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ এপেক মন্ত্রীদের বাণিজ্য সভার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েটে অবস্থান করছেন।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শু জুয়েটিং বেইজিংয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটনের আলোচনায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে চীন তার মতামত প্রকাশ করেছে।

তবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের চিপ প্রস্তুতকারক মাইক্রোনকে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং মূল দেশীয় শিল্পগুলোয় তাদের মেমোরি চিপ বিক্রি করতে ফার্মটিকে নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা চীনে পরিচালিত মার্কিন পরামর্শদাতাদের ধারাবাহিক অভিযানের পরে আরোপ করা হয়েছে।

এদিকে চীনের সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। ওয়াশিংটন গত বছরের অক্টোবরে ঘোষণা করেছিল, গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং অগ্রসর সামরিক ব্যবস্থার বিকাশে ব্যবহার করা যায়, এমন উন্নত সেমিকন্ডাক্টর ও নির্মাণ সরঞ্জাম চীনে রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এতে বিপাকে পড়েছে চীনের চিপ খাত।

চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের সরকার চিপকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং সম্পদ ও বৈশ্বিক প্রভাব অর্জনের প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে দেখে। ফোন থেকে রান্নাঘরের সরঞ্জাম, এমনকি যুদ্ধবিমান পর্যন্ত সবকিছুতে চিপ ব্যবহƒত হয়। চীনের এক বিজ্ঞানী গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারি একটি জার্নালে উল্লেখ করেন, চিপ হলো প্রযুক্তি যুদ্ধের কেন্দ্র।