রাস্তার পাশেই বর্জ্যরে স্তূপ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নগরবাসী

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, হামজার খাঁ লেন, যেতেই রাস্তার বাম পাশে মূল সড়কের ওপর ময়লা আবর্জনার স্তূপ দেখা যায়। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ভ্যানে করে বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা নিয়ে আসছে এবং রাস্তার ওপর এলোমেলোভাবে ফেলে যাচ্ছে। কয়েকজন টোকাই পচা ময়লার স্তূপ এদিক-ওদিক সরিয়ে ভাঙাচোরা প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতল ইত্যাদি কুড়িয়ে কাঁধে চাপানো বস্তায় রাখছে। এভাবে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে মূল রাস্তা ও ফুটপাতের বিভিন্ন স্থানে। ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তার স্বাভাবিক পরিবেশ। পথচারীদের দেখা যায়, নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করছে। কেউ কেউ হাত দিয়ে নাকমুখ চেপে ধরে চলাচল করছে। পচা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে মিশে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই এলাকাবাসী, পথচারী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন পৌরসভা থেকে এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নাকে কাপড় ছাড়া কিংবা নিঃশ্বাস বন্ধ না করে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল একেবারে অসম্ভব। ময়লার স্তূপ প্রতিনিয়ত যে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি পথচারীরা নাক ঢেকে চলাচল করতে পারলেও পাঁচলাইশ, হামাজার খাঁ লেইন এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে যারা বসবাস করেন তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। ওই পথ দিয়ে নিয়মিত চলাচল করা এক ব্যক্তি বলেন, প্রতিদিন কাজের জন্য এ পথ দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এখানে ময়লা ফেলায় পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। কারও পক্ষে নিঃশ্বাস নিয়ে এ রাস্তা পার হওয়া সম্ভব নয়। আমরা নাক বন্ধ করেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করি। তাই ময়লার স্তূপ থেকে এলাকার মানুষকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। এ এলাকার বাসিন্দা, স্কুল, ছাত্র-ছাত্রীদের কথা নিয়ে ভাবতে হবে চট্টগ্রাম সিটির মেয়রকে। তাই এটাকে সহজ বিষয় হিসেবে না নিয়ে এ ময়লা স্তূপের  বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। এছাড়া পরিবেশবাদী সব সংগঠনের প্রতি অনুরোধ লোকদেখানো কাজ বাদ দিয়ে আপনার এলাকার পরিবেশ সার্বক্ষণিক সুন্দর এবং স্বচ্ছ রাখুন আগে। এক দিনের সৌন্দর্য দিয়ে কিছুই হয় না। মানুষকে আবর্জনা ময়লার স্তূপ নিয়ে সচেতন এবং কঠোর থেকে পরামর্শ দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে,  পরিবেশ দুর্গন্ধের মারাত্মক প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য শুধু আমরা সচেতন হলেই হবে না। সরকারকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং কঠোর হাতে আইন প্রয়োগ করতে হবে।                          

মোহাম্মদ এনামুল হক

শিক্ষার্থী, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম