ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক সংকট নিরসনে অলিখিত চুক্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করা নিয়ে ইরানের সঙ্গে অলিখিত ও অনানুষ্ঠানিক চুক্তি করতে চায়। খবর: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

গত বৃহস্পতিবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত রাখবে এবং কারাগারে আটক কয়েকজন মার্কিন বন্দিকে ছেড়ে দেবে। একই সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানপন্থি যেসব মিলিশিয়া বাহিনী রয়েছে, সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে না বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া চুক্তিতে রয়েছে, ইরান রাশিয়ার কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও বিক্রি করবে না।

এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরাইলের তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, ইরানের এক কর্মকর্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা। ইরানের কর্মকর্তা এই চুক্তিকে রাজনৈতিক যুদ্ধবিরতি হিসেবে অভিহিত করেছেন। ইসরাইলের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিগগির চুক্তিটি হয়ে যাবে।

চুক্তিটি বাস্তবে রূপ নিলে ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত ৬০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করবে না। বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, একটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে ৯০ শতাংশ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন হয়।

জাতিসংঘের সম্মেলন ও ওমানে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর এ চুক্তিটি করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এই চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে। ইরান গ্যাস বিক্রি বাবদ ইরাকের কাছ থেকে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ২৭০ কোটি ডলার এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে তেল বিক্রি বাবদ ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি ডলার পাবে। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এসব অর্থ আটকে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইরানের তেলের কার্গো জাহাজ জব্দ করাও বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য। ইরানের খনিজ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ, দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, পারমাণবিক শক্তি অর্জনের আকাক্সক্ষা এবং মধ্যপ্রাচ্যে উভয় রাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের আগ্রহ থাকায় দেশ দুটির মধ্যে অন্তত পাঁচ দশক ধরে চলা দ্বন্দ্ব বিশ্বব্যাপী আলোচনা ও ভাবনার বিষয় হয়ে রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে দেশ দুটি। সবশেষ ইরানের ড্রোনশিল্পের অগ্রযাত্রা রুখতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে মানবাধিকার

লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের

১০ ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করে তেহরান।