এসএম রুবেল, কক্সবাজার:কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে স্পিডবোট ও গামবোট। কোথাও যাত্রী সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। ফলে ঝুঁকিতে পড়ছেন নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ অন্য যাত্রীরা।
রোববার আবু মুরশেদ শাহরিয়ার নামের এক যাত্রী জানিয়েছেন, কক্সবাজার থেকে মহেশখালী ঘাটে ফিরছিলেন। ওইসময় বোটে ৬০ জনের অধিক যাত্রী ও মালামাল নেয়া হয়। কোনো যাত্রীকে লাইফজ্যাকেট দেয়া হয়নি। বোট চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি উল্টো যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
তিনি আরও জানান, নৌপথে পারাপারে ঝুঁকি থাকায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও লাইফজ্যাকেট না রাখার বিষয়টি ফোনে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি। পরে ফোন করা হলে ফোন ধরেননি ইউএনও। শেষে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই ফিরতে হয় যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্ষা মৌসুমে সাগর উত্তাল রয়েছে। কোনো বোটে যাত্রী সুরক্ষার জন্য লাইফজ্যাকেট ব্যবহার করা হচ্ছে না। তার ওপর ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে গামবোটগুলো। কিন্তু ঘাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনিয়ম রোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
জানা গেছে, খাস কালেকশনের অধীনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কক্সবাজার ৬নং ঘাট পরিচালিত হয়। ঘাটের প্রবেশমুখে যাত্রীপ্রতি ও মালামালের ওপর অনিয়ন্ত্রিত টোল আদায় করা হয়। কিন্তু যাত্রী সুরক্ষায় উদাসীন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইয়াসিন জানান, সারাদিন কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিংয়ে ছিলেন। ওই সময় একজন ফোন করেছিলেন, তবে অপর প্রান্তে শব্দ থাকায় তিনি বুঝতে পারেননি।
কোনো বোট চালক যদি আইন না মানে, তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য যাত্রীদের প্রতি
আহ্বান জানান ইউএনও।