বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তাল ফ্রান্স

শেয়ার বিজ ডেস্ক:১৭ বছর বয়সী আলজেরীয় কিশোর নাহেল এমেকে গত মঙ্গলবার (২৭ জুন) গুলি করে হত্যার ঘটনায় পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে ফ্রান্সে। বিক্ষোভকারীরা মেয়রের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এ সময় মেয়র বাড়িতে না থাকলেও হামলা থেকে বাঁচতে সন্তানদের নিয়ে পালানোর সময় পা ভেঙেছে মেয়রের স্ত্রীর। খবর: বিবিসি।

ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় মার্সেই শহরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভের পঞ্চম দিনে ৭১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন দাবি করছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই শান্ত হয়ে আসছে।

বিক্ষোভ দমাতে দেশে ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, দক্ষিণ প্যারিসের উপশহরে বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় মেয়রের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। এমনকি তারা মেয়রের স্ত্রী-সন্তানদের দিকে রকেট নিক্ষেপ করে। সন্তানদের নিয়ে পালানোর সময় মেয়রের স্ত্রীর এক পা ভেঙে গেছে।

চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল স্থানীয় সময় রোববার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক আহ্বান করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।

নাহেলের মৃত্যুর ঘটনায় আলজেরিয়ার সরকারও উদ্বিগ্ন। যদিও নাহেল দ্বৈত নাগরিক ছিল কি না, তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। আলজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক অনুষ্ঠানে নাহেলের মৃত্যুর ঘটনা ‘আতঙ্কের’ বলে মতামত প্রকাশ করেছে। তারা নাহেলকে আলজেরিয়ান বলে অভিহিত করে বলেছে, তার সুরক্ষা ফ্রান্সের হাতে ছিল।

নাহেলের বেড়ে ওঠা প্যারিসের পশ্চিমে নতেঁ শহরের পাবলো পিকাসো নামের একটি এস্টেটে। এই এস্টেটটি অভিবাসীবহুল। একমাত্র সন্তান নাহেলকে বড় করেছেন মা। সে পণ্য ডেলিভারির কাজ করত। তার বাবার পরিচয় জানা যায়নি।

গত তিন বছর নাহেল পাইরেটস অব নতেঁ রাগবি ক্লাবে খেলেছে। ওভালে সিটিয়েন নামের একটি সমিতি স্কুলে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে, এমন কিশোর-কিশোরীদের জন্য একটি কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। নাহেলও ওই কর্মসূচিতে অংশ নিত।

নাহেলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই। নতেঁর কৌঁসুলি বলেছেন, তল্লাশিচৌকির পুলিশ থামতে বললে সে তা করেনি। তাকে নাবালকদের জন্য একটি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল।