জনসন অ্যান্ড জনসনকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডার ঘিরে কয়েক বছর ধরে বিতর্ক চলছে। ওই পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গেছে। অ্যাসবেস্টস শিশুদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এমন দাবি ঘিরেই চলছে বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে এবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক আদালত জনসনকে এক ব্যক্তিকে ১৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিল। খবর: রয়টার্স।

ওই ব্যক্তির দাবি, জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের কারণে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন।

গত বছর ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে মামলা দায়ের করেন ইমোরি হার্নান্ডেজ ভালাদেজ নামের এক ব্যক্তি। ২৪ বছরের ভালাদেজের অভিযোগ, তার শরীরে মেসোথেলিওমা নামের ভয়ংকর ক্যানসার বাসা বেঁধেছে ছোটবেলায় জনসন অ্যান্ড জনসনের পাউডার ব্যবহারের ফলে। অবশেষে এই রায় দিলেন আদালত। তবে আদালত জনসনকে জরিমানা করলেও অন্য সাজা দেননি।

উল্লেখ্য, ১৮৯৪ সাল থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার বিক্রি করছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশে এটি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুর ক্যানসারের জন্য ওই সংস্থাকে দায়ী করে মামলা দায়ের করার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে ক্রমেই কমতে শুরু করে পাউডারটির চাহিদা। সেই থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই প্রতিকূল হয়েছে। একের পর এক মামলায় বিরাট অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।

ওভারিয়ান ক্যানসারের জন্য দায়ী অ্যাসবেস্টসের চিহ্ন ধারণকারী ট্যালকম পাউডার নিয়ে জনসন অ্যান্ড জনসন হাজার হাজার মামলার সম্মুখীন হয়েছে। মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য কখনও তাদের ভুল স্বীকার করেনি। তবে ২০২০ সালের মে মাসে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় তাদের ট্যালক-ভিত্তিক বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।

সংস্থাটি জানায়, বিশ্ববাজারে ২০২৩ সালে শিশুদের ট্যালকযুক্ত পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হবে। বৈশ্বিকভাবে চাহিদা মূল্যায়নের অংশ হিসেবে তারা কর্নস্টার্চযুক্ত (ভুট্টা থেকে নেয়া উপাদান) সব ধরনের বেবি পাউডার বিক্রি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বলছে, পণ্যটির নিরাপদ ব্যবহারসংক্রান্ত একের পর এক আইনি চ্যালেঞ্জের কারণে ‘ভুল তথ্য’ ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে চাহিদা কমে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।