ধর্মপাশায় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

প্রতিনিধি, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। আকাশে মেঘ জমলেই কিংবা সামান্য বাতাস শুরু হলেই পালিয়ে যায় বিদ্যুৎ। এই প্রচণ্ড দাবদাহে বিদ্যুতের ভেলকিবাজির শেষ নেই।

দিন-রাতে প্রায় অর্ধেক সময় ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। বুধবার  সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় চার-পাঁচবার লোডশেডিং হয়েছে।

গ্রাহকরা বলছেন, পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। গভীর রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে প্রচণ্ড গরমের যন্ত্রণায় প্রতিটি বাড়িতে শোনা যায় শিশুদের আর্তচিৎকার। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম বিপাকে। নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভোগান্তি। ঘনঘন এমন লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফ্রিজ, পানির মোটর, ফটোকপি মেশিনসহ বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার পথে।

এছাড়া বাড়তি ভোগান্তি হিসেবে যোগ হয়েছে অতিরিক্ত ভুতুড়ে বিল। একজনের বিল আরেকজনের নামে তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। বিদ্যুতের নতুন সংযোগ ও খুঁটি সরানোর নামে একটি মহল হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। জনগণের এমন ভোগান্তি দেখার যেন কেউ নেই। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় ফুঁসে উঠছে সাধারণ জনগণ, যে-কোনো সময় ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের অফিস ঘেরাও হতে পারে, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রচারপত্র বিলি করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ধর্মপাশা জোনাল অফিস ঝড় তুলেছেন উপজেলাবাসী। অভিযোগ অস্বীকার করে ধর্মপাশা  জোনাল অফিসের এজিএম মো. হাফিজুর রহমান বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।