নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে পণ্য সংরক্ষণ ও মূল্যবান গুদাম ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনেছে ঢাকা কাস্টম হাউস। এই গুদামের তদারকির দায়িত্ব বিমানবন্দর কাস্টমস শাখাকে দেয়া হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদ সই করা আদেশ জারি করা হয়েছে। এত দিন এই গুদাম তদারকির দায়িত্বে ছিল হাউসের বিচার শাখা। বিমানবন্দর কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মিনহাজ উদ্দিনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে মূল্যবান গুদাম ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মূল্যবান এই গুদামের লকার থেকে ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম সোনা ও সোনার অলংকার চুরি হয়ে যায়। এ নিয়ে ঢাকা কাস্টম হাউস অজ্ঞাতদের আসামি করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করে। বর্তমানে মামলাটি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত করছে। মূল্যবান এই গুদাম থেকে সোনা গায়েবের পর কাস্টম হাউস গুদামের ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর আগে মূল্যবান এই গুদামের অটোমেশনের কাজে হাত দেয় কাস্টম হাউস। মূলত অটোমেশনে হাত দেয়ার পর সোনা চুরির বিষয়টি সামনে আসে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মিনহাজ উদ্দিন শেয়ার বিজকে জানিয়েছেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর দুজন ডেপুটি কমিশনার ও দুজন সহকারী কমিশনারকে গুদামের তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এনবিআরের স্ট্যান্ডিং অর্ডার মোতাবেক দু’এক দিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা, দেহ তল্লাশি কর্মকর্তা ও এক্সেস পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিমানবন্দর দিয়ে গমনাগমনকারী যাত্রীদের যাত্রীসেবা প্রদানের পাশাপাশি তিনি বিমানবন্দরে আটককৃত স্বর্ণ ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় অধিকতর সতর্ক থাকবেন। প্রতি মাসে দু’বার বাংলাদেশ ব্যাংকে আটককৃত সোনা প্রেরণ নিশ্চিত করবেন। এক্ষেত্রে এনবিআর ও কাস্টম হাউসের নির্দেশনার কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না বলে জানান তিনি।