আজ বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী ডিম দিবস পালন শুরু হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে খাদ্যতালিকায় দৈনিক মাথাপিছু ডিমের পরিমাণ অন্তত দ্বিগুণ করতে হবে। ‘সুস্থ সবল জাতি চাই, সব বয়সে ডিম খাই এ স্লোগান বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর-বন্দর, হাটবাজারে মাত্র ১২-১৩ টাকার মধ্যে হাত বাড়ালেই ডিম পাওয়া যায়। প্রতিটি মানুষকে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, তাহলে প্রোটিনের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে। বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বাজারে ডিমের দাম একটু বেশি হওয়ায় সরকার ভারত থেকে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুরগি পালনের বিভিন্ন উপকরণ খাদ্য, ভ্যাক্সিন, ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ার কারণে ডিম, মুরগি উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়াই স্বাভাবিক। সাময়িক এ মুরগি ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা ভেবে দেখা দরকার। আমদানিকৃত ডিমের সঙ্গে বিভিন্ন রোগ-বালাই আসতে পারে, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে।
স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে বেশি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে দেশের অপুষ্টির চিত্র আমূল পালটে যাবে। ডিমের পুষ্টিগুণের কথা কমবেশি সবারই জানা। কেউ হাঁসের ডিম খেতে পছন্দ করেন, কেউ আবার মুরগির। হাঁসের ডিমে কিছুটা আঁশটে গন্ধ থাকায় অনেকেই পছন্দ করেন না। আবার অনেকের মুরগির ডিমে অরুচি আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁস ও মুরগি দুই ধরনের ডিমই শরীরের জন্য উপকারী।
পুষ্টিবিদদের মতে, পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে মুরগির ডিমের চেয়ে হাঁসের ডিম বেশি উপকারী। কারণ এতে পুষ্টি উপাদান মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি থাকে। তবে হাঁসের ডিমে মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি কোলেস্টেরল থাকে। তাই কারও হƒদরোগের সমস্যা থাকলে হাঁসের ডিম না খাওয়াই ভালো। এছাড়া হাই প্রোটিন ডায়েট মেনে চললে হাঁসের ডিমের শুধু সাদা অংশটাই খাওয়া উচিত। অন্যদিকে, মুরগি ও হাঁসের ডিম বহুল প্রচলিত হলেও কোলেস্টেরলের কারণে অনেকেই খেতে পারেন না। এর বিকল্প হিসেবে কোয়েলের ডিম খাওয়া যেতে পারে।
এম এ কাদের সাংবাদিক ও কলামিস্ট