শেয়ার বিজ ডেস্ক: গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোয় বড় জোর ২৪ ঘণ্টা চালানোর মতো জ্বালানি আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় দপ্তর ওসিএইচএ বলেছে, ব্যাকআপ জেনারেটরগুলো যদি জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে হাজারো রোগীর জীবন হুমকিতে পড়বে। খবর: বিবিসি।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে জ্বালানি, পানিসহ জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে গাজায় প্রবেশের সুযোগ চেয়ে আসছে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা। এর মধ্যে গাজায় ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের ব্রিটিশ-ফিলিস্তিনি সার্জন গাসান আবু সিত্তা সতর্ক করেছিলেন, তার হাসপাতালে রোগীদের সহায়তা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত রসদ নেই। সাধারণ সময়ে তাদের এক বা দেড় মাসে যে পরিমাণ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম লাগত, এখন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিদিনই সে পরিমাণ দরকার হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর সীমান্ত পেরিয়ে তিন দিক থেকে ইসরাইলের দক্ষিণ অংশে ঢুকে পড়ে। তাদের হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩০০ ইসরাইলি নিহত হয়। হামাস যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে আরও দেড়শ জনকে। পাল্টা জবাবে ইসরাইল গাজায় হামাসের সামরিক শাখা এবং অবকাঠামোয় জোর বিমান হামলা শুরু করে, শুরু হয় সর্বাত্মক অবরোধ। গত ৯ দিনে ইসরাইলের হামলায় প্রায় আড়াই হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
ইসরাইল ঘোষণা দিয়েছে, গাজায় খাদ্য বা জ্বালানি কিছুই প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এ পরিস্থিতিতে গত ১১ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ডের একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। অন্ধকারে ডুবে যায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত এলাকা। গাজায় ইসরাইলের এই সর্বাত্মক অবরোধকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভল্কার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, গাজার পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ ছিল। এর মধ্যে সর্বাত্মক অবরোধ পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটাচ্ছে।
গতকাল সোমবার গুঞ্জন ওঠে, মানবিক সহায়তার জন্য মিসর-গাজার সীমান্ত সাময়িক খুলে দেয়া হচ্ছে। ফলে দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধবিরতির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেন, যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। তবে এ বিষয়ে কিছু খবর দেখেছি। নিশ্চিত করার মতো কিছু নেই।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকেও যুদ্ধবিরতির খবরটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।