যোগাযোগব্যবস্থায় মেট্রোরেল স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ

রেজাউল করিম খোকন: যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্বের ধীরগতির শহর। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা বলছে, ঢাকায় গাড়ির গড় গতি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটারেরও কম। যানজটের এ শহরে এখন ঘণ্টায় ৩৮ কিলোমিটার গতিতে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে যাত্রীরা, যা সম্ভব করেছে মেট্রোরেল। যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরুর প্রথম দিনে ৩২ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার পথ মাড়িয়ে মতিঝিল পৌঁছেছে ট্রেন। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে পৌনে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ দিয়াবাড়ী-আগারগাঁও অংশে চলছে মেট্রোরেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর থেকে ট্রেনের রুট বর্ধিত হয়েছে মতিঝিল পর্যন্ত। ১১ মাসের অভ্যস্ততায় মেট্রোরেলে চড়তে আগের মতো লম্বা লাইন, হুড়োহুড়ি নেই এবার। বেড়ানো নয়, যাদের প্রয়োজন, তারাই চড়ছেন। যানজট ও পথের ভোগান্তি এড়িয়ে মিরপুরের যাত্রীরা পল্লবী স্টেশন থেকে ২৬ মিনিটে এসেছেন মতিঝিলের অফিস পাড়ায়। আগে বাসে আসতে ঘণ্টা দুই লাগত। মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলায় পুরো এক ঘণ্টা সময় বেঁচেছে। দিয়াবাড়ী-আগারগাঁও অংশে ট্রেন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চললেও, মতিঝিল পর্যন্ত চলছে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আগারগাঁওয়ের পর ফার্মগেট ও সচিবালয় স্টেশনে থামছে ট্রেন। পথে বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি স্টেশনে আপাতত থামছে না। আর আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে আসছে। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ায় যাত্রীরা উত্তরা ও মিরপুর থেকে সরাসরি যেতে পারছেন। মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও ফার্মগেটÑএই তিনটি স্টেশন সচল রয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের বাকি স্টেশনগুলো আগামী ৩ মাসের মধ্যে চালু করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা বলছেন, পুরো পথে রাত ১১টা পর্যন্ত ট্রেন চালানো উচিত। এখন ট্রেনে গেলেও ফিরতে হচ্ছে কিন্তু বাসে। দিয়াবাড়ী-আগারগাঁও অংশে যেভাবে ধাপে ধাপে সব স্টেশন চালু হয়েছে, ট্রেন পরিচালনার সময় বেড়েছে, মতিঝিল রুটে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। মেট্রোরেল ভবিষ্যতে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। মেট্রোরেল সব দিক থেকেই ভালো। আরামের যাতায়াত, যানজটও নেই। ট্রেনের জন্য স্টেশনে অপেক্ষায়ও বিরক্তি নেই। ঢাকার সব রুটে মেট্রোরেল নেই। আরও পাঁচটি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হবে ২০২৮ সালের মধ্যে। ২০২৫ সালের জুনে কমলাপুর পর্যন্ত চালু হবে মেট্রোরেল। দিয়াবাড়ী থেকে ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দিয়াবাড়ী-কমলাপুর রুটে সময় লাগবে ৪০ মিনিট। মতিঝিলের মতো কমলাপুরেরও ভাড়া হবে ১০০ টাকা। দ্বিতীয় অংশের উদ্বোধনের পর দেশের প্রথম মেট্রোরেল কার্যত পূর্ণতা পেয়েছে। মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দূরত্বের পথ মাত্র ৩৮ মিনিটে পার হতে পারছেন যাত্রীরা। এলিভেটেড লাইন হওয়ায় রাজধানীর চিরচেনা যানজটে পড়তে হচ্ছে না যাত্রীদের।

এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পটি ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিয়েছে জাইকা। বাকি ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা বহন করেছে বাংলাদেশ সরকার। মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাইকার সঙ্গে চুক্তি সই হয়। প্রথমে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের কথা ছিল। যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনায় সেটি কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দূরত্ব এক দশমিক ৬ কিলোমিটার। বর্তমানে বর্ধিত অংশের অর্থাৎ মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যদিও নির্মাণকাজের শুরুতে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের বাস্তব কাজ শেষ হয়েছে ৯৮ দশমিক ০৮ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করেছেন। এই লাইন হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী, মিরপুর-১০, গুলশান-নতুন বাজার ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার হবে। ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে।

রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর প্রথম দিনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ট্রেনের প্রতিটি বগিতে দাঁড়িয়ে থাকারও উপায় ছিল না। যানজটের এই নগরীতে মাত্র আধা ঘণ্টার একটু বেশি সময়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনে উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌঁছতে পেরে খুশি যাত্রীরা। বিশেষত সচিবালয়সহ অফিসপাড়ায় ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর আমাদের জন্য একটি আনন্দময় দিন। এই দিনে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছিল আধুনিক গণপরিবহন মেট্রো যুগে; যা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা সংক্ষেপে এমআরটি নামে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেছিলেন। ২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি লাইন-৬-এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সাড়ে তিন মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। তবে শুরুর দিকে ১০ মিনিট অন্তর চলছে। সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৩০৮ জন হলেও শুরুর দিকে প্রতিটি ট্রেন ১০০ থেকে ৩৫০ যাত্রী নিয়ে চলছে। মেট্রোরেলের ছয় বগির ট্রেনের দুই দিকেই থাকছে ট্রেইলার কোচ। যেখান থেকে চালকেরা ট্রেন পরিচালনা করছেন। প্রতিটি ট্রেইলার কোচের যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩৭৪ জন। মেট্রোরেল চলছে  বিদ্যুতে। জাতীয় গ্রিড থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ-সংযোগ থাকছে  মেট্রোরেলের দিয়াবাড়ি ও মতিঝিল সাবস্টেশনে। থাকছে  বিকল্প সংযোগও। বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে চলবে জেনারেটর। ট্রেনের প্রথম ও শেষের বগিতে থাকছে  ট্রেন পরিচালনার মডিউল। ফলে ট্রেন না ঘুরিয়েই চালানো হচ্ছে। ট্রেন নিয়ন্ত্রণে চালকদের কাজ সামান্যই। ট্রেন চলছে সফটওয়্যারে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তথ্যমতে, বছরে দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২.৫ শতাংশ ক্ষতি করছে যানজট। টাকার অঙ্কে ৮৭ হাজার কোটি টাকা। দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন এমআরটি-৬ লাইন যানজটের ক্ষতি কমাবে ৯ শতাংশ। বর্তমান সরকারের আমলে যে কটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, মেট্রোরেল তার অন্যতম। গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগযোগ অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে। মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকা শহরের যানজট ও মানুষের ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে আশা করা যায়। মেট্রোরেল কেবল দ্রুত পরিবহন নয়, এটি পরিবেশবান্ধবও। বাংলাদেশে মেট্রোরেল নতুন পরিবহন হওয়ায় এর সঙ্গে অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে। ফলে কর্তৃপক্ষকে যাত্রীদের সচেতন করার পাশাপাশি নিজেদেরও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। জাতির অগ্রগতির প্রতীক এই পরিবহন কারও গাফিলতি বা ভুলে ক্ষতিগ্রস্ত হোক, সেটা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। মেট্রোরেল ঢাকার জনজীবনে গতি আনুক।

যানজটের নগর ঢাকার নাগরিকদের স্বস্তি দিতে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয় ২০০৫ সালে। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মূল কাজ শুরু হয় ২০১৬। বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ বড় শহরগুলোতে মেট্রোরেল-ব্যবস্থা রয়েছে। এ ধরনের গণপরিবহন চালুর অন্যতম উদ্দেশ্য মানুষের যোগাযোগকে সহজ ও সময় সাশ্রয়ী করা। এতে সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনীতিও বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়। এসব দিক বিবেচনায় রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হওয়া একটা বৈপ্লবিক ব্যাপার। মেট্রোরেল যানজট এড়িয়ে আমাদের গণমানুষের যাতায়াতের সময় বাঁচাবে। এর ফলে অনেক কর্মঘণ্টা আমরা পাব। যে কর্মঘণ্টাগুলো মানুষ কোনো না কোনো কাজে লাগাতে পারবে। এমনকি মানুষ যদি বিশ্রামও নেয়, তাতে তাদের অন্য কাজের গতিশীলতাও বাড়বে। অর্থাৎ মেট্রোরেলের মাধ্যমে শুধু যে তাৎক্ষণিক যাতায়াতের সময় বাঁচবে তা নয়, গণমানুষের কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনশীলতাও বাড়বে। মেট্রোরেলের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, অসুস্থ মানুষসহ সবাই উপকৃত হবেন। যেহেতু অর্থনীতিকে চালায় মানুষ। আর এই মানুষ যত বেশি দক্ষ ও কর্মক্ষম হবে, তত বেশি সে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবে। পাশাপাশি মেট্রোরেলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে। এসব দিক থেকে মেট্রোরেল অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। অর্থনৈতিক ভূমিকার পাশাপাশি মেট্রোরেল চালুর ফলে ঢাকায় দূষণের পরিমাণও কমাতে পারে। প্রধানমন্ত্রীও মেট্রোরেলকে পরিবেশবান্ধব বাহন বলেছেন। তবে মেট্রোরেল কোনোভাবেই বাস বা অন্যান্য গণপরিবহনের পুরোপুরি বিকল্প নয়। তাই মেট্রোরেলে পাশাপাশি উন্নত গণপরিবহনের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

মেট্রোরেল চালুর মতো যুগান্তকারী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আমরা এগিয়ে চলেছি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে। আশির দশকে দেশের যোগাযোগ খাতে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণের ধারা শুরু হয়েছিল। গত এক যুগে এই খাতে বিনিয়োগ আরও বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালুর মাধ্যমে সরকার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের বিষয়টি দেশে-বিদেশে আলোচিত হয়েছে। মেট্রোরেলের চালুর মাধ্যমেও ঢাকার মানুষের মধ্যে একধরনের সাড়া পড়েছে। আগামী নির্বাচনের আগে মতিঝিল পর্র্যন্ত মেট্রোরেল চালুর সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হয়ে গেছে। কর্ণফুলীর মোহনায় (বঙ্গোপসাগর ও নদীর মিলনস্থল) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মিত হয়েছে। কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীর তথা আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা টানেলের মাধ্যমে মূল নগরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। চীনের সাংহাইয়ের আদলে গড়ে উঠবে দুই শহরের সমন্বয়ে একটি নগর। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। ঢাকা শহরের নাগরিক জীবনকে যানজট থেকে স্বস্তিদায়ক করতে তৈরি হয়েছে মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, ঢাকা র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্টসহ (এমআরটি) বহুবিধ প্রকল্প। উত্তরা-মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেল চালু হওয়ায় ঘণ্টায় ৬০ হাজার লোক চলাচল করতে পারছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল সময় লাগছে ৪০ মিনিটেরও কম সময়। রাজধানী ঢাকা থেকে রেল চট্টগ্রাম, দোহাজারী, রামু হয়ে কক্সবাজার থেকে মিয়ানমারের ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত চলে যাবে। রেললাইনটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরকে সংযুক্ত করে চীন, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। পাহাড়, সমুদ্র আর বিলঘেঁষে রেল লাইন দেশে এটিই প্রথম। এর ফলে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। বর্তমান সরকার যোগাযোগ খাতে অনেক সুখবর দিয়েছে। এর রেশ হয়তো এ বছরও থাকবে। সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলা বাংলাদেশের সফল রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগাযোগ ব্যবস্থায় একের পর এক নতুন নতুন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে গতিময় জীবনের পথে শামিল করেছেন। তিনি আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। সাফল্যের বিজয়গাথায়  বাংলাদেশের সব মানুষকে সম্পৃক্ত করেন চমৎকার নৈপুণ্যে, বিচক্ষণ নেতৃত্বে, অসাধারণ দক্ষতায়।

এ কারণে দেশের সাধারণ মানুষ আজ অনেক আনন্দিত। উন্নয়নের ধারা এখানেই থেমে নেই। দেশজুড়ে চলছে এরকম আরও অনেক যুগান্তকারী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। এভাবেই আমরা ক্রমেই এগিয়ে চলেছি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথ ধরে সুবর্ণ এক গন্তব্যের দিকে।

অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, কলাম লেখক