যুদ্ধবিরতির দ্বারপ্রান্তে হামাস-ইসরায়েল

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েল একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। চুক্তির আওতায় হামাসের হাতে জিম্মি কিছু ব্যক্তির মুক্তি নিশ্চিত করতে পারবে ইসরায়েল। খবর: রয়টার্স।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েল একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। বাইডেনের ভাষায়, আমরা এখন অনেকটাই কাছাকাছি চলে এসেছি, আগে কখনোই এমনটা হয়নি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েল জানায়, ওই হামলায় প্রাণ হারান ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ। আর ২৪০ জনের মতো মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েল একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে, এমন খবর কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল।

গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। এর আওতায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ওই সময় গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করা যাবে। তবে কাতারে থাকা হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে পাঁচ দিন।

ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রসের প্রেসিডেন্ট মিরজানা স্পোলজারিক গত সোমবার কাতারে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যদিও রেডক্রসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা দুজন মানবিক সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে তাদের কথা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত মিখায়েল হেরজগ গত রোববার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আশা করছি, চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই আশার আলো দেখা যাবে।

অন্যদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুলরাহমান আল-থানি জানান, চুক্তির শর্ত নিয়ে দুই পক্ষের অনড় ও বিরোধপূর্ণ অবস্থান অনেকটা কমেছে।

গত শনিবার ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছেছে হামাস ও ইসরায়েল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল উভয়ে ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।