ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ কার্যকারিতা ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতির আলোচনা

TOPSHOT - People stand around craters caused by Israeli bombardment in Rafah on the southern Gaza Strip on February 12, 2024, amid ongoing battles between Israel and the militant group Hamas. Israel announced on February 12 the rescue of two hostages in the southern Gaza city of Rafah, where the Hamas-run health ministry said "around 100" Palestinians including children were killed in heavy overnight air strikes. (Photo by SAID KHATIB / AFP)

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে মিসরের কায়রোতে মিসর, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার যে আলোচনায় বসেছিল, তা কোনো ধরনের কার্যকারিতা ছাড়াই শেষ হয়েছে। খবর: আল জাজিরা।

এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফায় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিভিন্ন দেশ। রাফায় স্থল অভিযান বন্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে অনুরোধ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যেই প্রিটোরিয়া গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আইসিজেতে আবেদন করেছে। সেই আবেদনের বিষয়ে আদালত এখনও রায় দেননি। তবে গত ২৬ জানুয়ারি আদালত অন্তর্বর্তী আদেশে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন।

চার মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছে মিশর সীমান্তবর্তী রাফা শহরে। কিন্তু সেখানেও এখন হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এতে ব্যাপক শঙ্কায় দিন কাটছে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের। কারণ তাদের কাছে আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সদস্যরা রাফা শহরে লুকিয়ে আছেন উল্লেখ করে তাদের পরাজিত করার অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, রাফায় ১০ লাখের বেশি মানুষ আটকা পড়েছে। তারা সবাই মৃত্যুর দিকে তাকিয়ে আছে। শহরটির বেসামরিক মানুষদের কাছে খুব অল্প পরিমাণ খাবার রয়েছে। তাদের চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগও সীমিত। তাদের যাওয়ার জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। মার্টিন গ্রিফিথসকে এমন কড়া ভাষায় বিবৃতি দিতে সচরাচর দেখা যায় না।

অন্যদিকে আল নাসের হাসাপাতাল ছেড়ে যারা অন্য জায়গায় যেতে চায় তাদের জন্য নিরাপদ পথ তৈরির আহ্বান জানিয়েছে ডক্টরস উইথআউট বর্ডারস। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি স্নাইপারের গুলিতে খান ইউনিসে আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ৪৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৮ হাজার ১৪৬ জন।

ওদিকে গত মঙ্গলবার গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে কমান্ডারসহ আরও ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এতে স্থল অভিযানে মোট ২৩২ ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারাল।