দুর্ঘটনা এড়াতে যত্রতত্র ফানুস ওড়ানো

 

নিরুৎসাহিত করুন: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এ কথা সত্যই বাঙালির উৎসব সারা বছর লেগেই থাকে এবং যেকোনো উৎসবই বাঙালিরা অত্যন্ত ধুমধামের সঙ্গে পালন করে থাকে। আর বর্তমানে এ উৎসবগুলোকে আরও ধুমধাম ও আনন্দমুখর করতে আতশবাজি ফুটানো এবং ফানুস ওড়ানো জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এ সাময়িক আনন্দের জন্য ঘটছে ব্যাপক দুর্ঘটনা।

বেশিরভাগ ফানুস অদক্ষ লোক দিয়ে বানানোর কারণে ফানুস কিছুটা উপরে উঠে পুড়তে পুড়তে জলন্ত অবস্থায় নিচে পড়ে যায়। এ জলন্ত ফানুসগুলো বাড়ির ছাদে, জনবসতিপূর্ণ এলাকাসহ,  কলকারখানার ওপরে পড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বর্তমান মেট্রোরেলের জন্য শহরে ফানুস ওড়ানো আরও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরা থেকে মতিজিল মেট্রোরেল প্রকল্পে মেট্রোরেল চলাচলের জন্য ব্যবহƒত হয়েছে উচ্চক্ষমতাসম্মন্ন বৈদ্যুতিক লাইন। আর এই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক লাইনে ফানুস বা এর অবশিষ্টাংশ জড়িয়ে ঘটতে পারে ভয়ানক দুর্ঘটনা। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক  মেট্রোরেলের আশপাশে ১ কিমি ভেতর বসবাসকারী বাসিন্দাদের ফানুস, ঘুড়িসহ, অন্যান্য বিনোদনসামগ্রী ওড়ানো বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা যারা মেট্রোরেলের আশপাশে বসবাস করি তারা অবশ্যই ফানুস ওড়ানোর ক্ষেত্রে সচেতন হবো।

এ পৃথিবীতে আনন্দ উপভোগের সকল কিছুই  মানুষের জন্যই সৃষ্টি। কিন্তু  আমরা এমন কোনো আনন্দ উপভোগ করব না, যেটার কারণে আমরাই  আমাদের ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসি। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা চাই না যে সাময়িক আনন্দের জন্য জীবনে বড় কোনো দুর্ঘটনা বয়ে নিয়ে আসুক। তাই  প্রত্যেক মা-বাবা, অভিভাবককে সচেতন হতে হবে যেন সন্তান ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকে।